বাংলাদেশের আয়েশা সিদ্দিকি মিন্নিকে আর বোধকরি পরিচয় করিয়ে দিতে হবে না । খবরে সর্ব আলোচিত নামটি মিন্নি ।
বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী তাঁর স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে গতকাল ১৩ ঘণ্টা জেরার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মিন্নিকে মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে পুলিশ লাইনসে আনা হয় শহরের দক্ষিণ মাইঠা এলাকার বাড়ি থেকে । মিন্নির সঙ্গে ছিলেন বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর।
তবে রাত ৯টায় মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ।
উল্লেখ্য, নয়ন বন্ড, যিনি রিফাতকে দিনের আলোয় কুপিয়ে হত্যা করেছিলেন, তাঁর মা দিন কয়েক পূর্বে জানিয়েছিলেন, বিয়ের পরও মিন্নি নয়নের সঙ্গে মেলামেশা করত । এমনকি খুনের আগের দিনও মিন্নি তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন নয়নের মা।
এদিকে মিন্নির বাবা জোর গলায় দাবি করেছেন, জিজ্ঞাসাবাদের নাম করে পুলিশ তাঁর মেয়েকে গভীর মানসিক নির্যাতন করেছে ।
বাবার মতে, হয়তো নির্যাতনে বিধ্বস্ত হয়ে মন সব কথা বলেছেন যে তার সূত্র ধরেই তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ।
বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন জানিয়েছেন, মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং পূর্বের প্রাপ্ত তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে হত্যাকাণ্ডে মিন্নির সংযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়েছে ।
রিফাত হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্যেই মিন্নিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তিনি জানান ।
উল্লেখ্য, মামলার এজাহারভুক্ত ৫ জন আসামিকে এখনো গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়নি পুলিশ ।
অন্যদিকে, হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত ৬ জন আসামিসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৩ জনের মধ্যে ১০ আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। বাকি ৩ আসামি এখনো রিমান্ডে রয়েছে।
পুলিশ আরো ৫ জনের গ্রেপ্তারের পূর্ণ চেষ্টা চালাচ্ছেন ।