মৃত্যুর পর জাতীয় অধ্যাপক এবং বাংলাদেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী আনিসুজ্জামানের দেহে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে।
মুক্তচিন্তক এবং সদর্থক একজন সৎ ‘মানুষ’ ছিলেন আনিসুজ্জামান। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
অধ্যাপকের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্তের তথ্য রাতে নিশ্চিত করেছেন তাঁর ছেলে আনন্দ জামান৷
১৪ মে’ সকালে আনিসুজ্জামানের লালা সংগ্রহ করা হয়। বিকেলে মারা যাবার পর ফের নমুনা নেয়া হয়। রাতে ফলাফল আসে অধায়পক করোনাতেও আক্রান্ত হয়েছিলেন। এজন্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁকে কবর দেয়া হয়েছে।
বিশিষ্ট ব্যক্তি আনিসুজ্জামানের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তাঁর ছাত্র-ছাত্রীরা। ‘নর্থ ইস্ট নাও’কে তাঁরা জানিয়েছেন, দেশে এমন আনিসুজ্জামান একজনই ছিলেন। আমরা চাই বাংলাদেশ আনিসুজ্জামানে ভরে পড়ুক। দেশ তাহলে সঠিক পথে এগোতে পারবে।”
শিক্ষাবিদ আনিসুজ্জামান কোন নির্দিষ্ট ধর্মের নয়। ছিলেব মানববাদে বিশ্বাসী।
তখন ১৯৫২ সাল। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে সারাদেশে চলছে তুমুল আন্দোলন। তমদ্দুন মজলিসের প্রগতিশীল থেকে শুরু করে প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র প্রত্যেকেই উচ্চকন্ঠ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে। কিন্তু সাধারণ মানুষ কতটকু বুঝেছে এর গুরুত্ব?
তাঁদের জন্যে রচিত হলো একটি বই। নাম “রাষ্ট্রভাষা কী ও কেন?” রচনা করেছেন স্বয়ং আনিসুজ্জামান!
বাঙালি জাতির কাছে তাঁর কোন মৃত্যু নেই।