ভারতের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠেছে। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ হাজার অতিক্রম করেছে ইতিমধ্যে। শনাক্তের পাশাপাশি মৃত্যু সংখ্যাও বাড়ছে।
সংকটময় পরিস্থিতিতে আরো এক হতাশাজনক ঘটনা হলো দেশের হাসপাতালগুলোতে টেস্ট কিটের অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে করা যাচ্ছে না কোভিড-১৯ টেস্ট। ভয়ানক এক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।
কিটের অভাবে রবিবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে বন্ধ হয়ে ছিল পরীক্ষা। ঘনবসতিপূর্ণ একটি জেলা কুমিল্লার এই বিভাগে গত ২৯ এপ্রিল থেকে পিসিআর পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত করার কাজ শুরু হয়। এখানে প্রতিদিন দুই পালায় মোট ১৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এত কম সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা হওয়ার জন্যে অধিকাংশ মানুষ নিজেদের টেস্ট করানো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এমনিতেই। এছাড়া আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, যাদের করোনা টেস্ট অথবা নমুনা পরীক্ষা সে দিনটিতে হচ্ছে না, তাঁদের নিশ্চয়ই পরের দিনের জন্যে অপেক্ষা করতে হবে। এ অবস্থায় সত্য সত্যই যদি উক্ত ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তিনি তো জানছেন না যে তিনি পজিটিভ। পরিবারের সকলের সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা হচ্ছেই। এ অবস্থায় একজন থেকে সংক্রমণ সারা পরিবারটিতে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা থেকেই যাচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের জনগণ এই কঠিন সময়ও কোনপ্রকার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার তোয়াক্কা করছেন না।
মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে প্রচুর নমুনা এখনো অবধি কিটের অভাবে পড়ে আছে! কুমিল্লার স্বাস্থ্য প্রশাসন বিপাকে পড়েছে এই ঘটনায়। অন্যদিকে ঢাকা-চট্টগ্রামের বহু ল্যাব নতুন করে নমুনা সংগ্রহ করতে রাজি হচ্ছে না।
বেশি বেশি পরীক্ষা না হলে দেশের পরিস্থিতি কতটা ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।