ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছিলেন বাংলাদেশের অপ্সরা আনিকা মীম। তিনি ভারতের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীর ব্যাচেলর অব ডিজাইন’এ পাঠরত প্রথম বর্ষের ছাত্রী। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের পক্ষ থেকে আগামি ১৫ দিনের মধ্যে তাঁকে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে।
এই বাংলাদেশি ছাত্রীকে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দেশ ছাড়ার নির্দেশ মেনে নিতে পারছেন না নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিরোধীদের ছবি ইন্টারনেটে দেওয়ার অপরাধে একজনকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া লজ্জার বিষয়।
এদিকে, শিক্ষার্থী অপ্সরা মীম ভারতে বৈধভাবে অবস্থান করার জন্য আইনগত সব পথ খুঁজতে শুরু করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা সেই নোটিশটির বিরুদ্ধে ভারতের হাইকোর্টে আবেদন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অসম রাজ্যের এক শিক্ষককেও প্রতিবাদের জন্য তাঁর পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। যেখানে অসম ভারতের রাজ্য হয়ে রেহাই পাচ্ছে না সেখানে বাংলাদেশ কীভাবে রেহাই পাবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়?