“আসলে বিন্দু থেকেই সিন্ধু হয়। সত্যের পক্ষে অন্যায়ের বিপক্ষে লড়াই করে গেলে বাংলাদেশ মৌলতন্ত্র, গোঁড়ামির উর্দ্ধে উঠে দেশকে বাঁচাতে সক্ষম হবে। জাগরণ চাই জনগণের।” জানাচ্ছেন ঢাকার এক আইনজীবী।
বাংলাদেশে সরস্বতী পূজার জন্যে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে পুরভোট। ছাত্র-ছাত্রী এবং বিভিন্ন সংগঠনের বিরোধিতা, সরকারের প্রতি ধিক্কার এবার ঠিকই কাজে লেগেছে। পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে কমিশন।
উল্লেখ্য, বিগত ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার দুটো পুরসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছিল কমিশন। ৩০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছিল।
কিন্তু সেদিন সরস্বতী পূজার তারিখ থাকার জন্যে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরই জোরদার আন্দোলন শুরু করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুড়ুয়ারা। তাঁদের একাংশ অনশন কারযসূচিও হাতে নিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের তরফে ভোটের দিন পরিবর্তনের দাবি জানানো হয়।
প্রথম অবস্থায় চিরাচরিতভাবে কোন গা করেনি কমিশন। কিন্তু পড়ুয়ারা আরো সোচ্চার হওয়ায় শনিবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন জরুরি বৈঠকে বসে।
চারদিক থেকে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার জেরে ঢাকা পুর নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ পরিবর্তনে রীতিমতো বাধ্য হয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।
৩০ জানুয়ারির বদলে আগামি ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।