কদিন পূর্বে বাংলাদেশের রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছিলেন, দেশে নারীর ওপর নির্যাতন চালিয়ে চলে যাবে দুষ্কৃতিরা, তার কোন প্রতিবাদ করা যাবে না।
সেই মেয়েটি স্রেফ নিজের অত্যাচারের কথা লিখে পেজে শেয়ার করেছিলেন, কিন্তু দেশের আইনের উপর কোন আস্থা রাখেননি। বা বিচার কখনো পাবে্ন, সে কথা ভেবেও পোস্ট করেনি।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি কতটা ভয়ানক হয়ে উঠেছে, ফের প্রমাণ হয়ে গেল।
নির্যাতনের শিকার ও ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন গড়ে তুলেছিল নির্যাতিতার পরিবারসহ বহু মানুষ নোয়াখালিতে। কিন্তু ফলও পাওয়া গেল হাতেনাতে। ধর্ষিতার স্বামী নাসির উদ্দিনকে দুর্বৃত্তরা অ্যাসিড ছুঁড়ে ঝলসে দিয়েছে! এদেশে কোন প্রতিবাদ করা যাবে না কখনো। প্রতিবাদ করলেই বেঘোরে প্রাণটা চলে যাবে।
গত রবিবার রাতে সুবর্ণচর উপজেলার উত্তর চরবাগ্যা গ্রামে এই বর্বরোচিত ঘটনাটি সংঘটিত হয়।
অ্যাসিড আক্রান্ত শরীর নিয়ে তিনি ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর বুক, হাত, ঊরুসহ শরীরের ৯ শতাংশ পুড়ে গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছিল বিগত ২ মে তারিখে।
নাসির উদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম শেফালির স্নানের ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করে স্ত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে প্রতিবেশি জয়নাল। এই মর্মে স্বামী নাসির জয়নালের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
এরপর পরই শুরু হয় জয়নালের উৎপাত। নাসিরের বিরুদ্ধে সে পাল্টা টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দিয়ে মামলা করে। এবং তাঁদের গ্রামছাড়া করার হুমকি দিতে থাকে।
এই ঘটনা নোয়াখালির সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের উত্তর চরবাগ্যা গ্রামের।
শেষ পর্যন্ত ধর্ষণের প্রতিবাদে স্বামী-স্ত্রীসহ অনেকে মানববন্ধন গড়ে তুলে। পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাসিডে শরীরটাকেই পুড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা!