আওয়ামী লীগের গত এক দশকের শাসন আমলে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। শুক্রবার বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বলেছিলেন, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না এলে রাজনৈতিক স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যায়। জাতির পিতা সুনির্দিষ্ট একটি লক্ষ্য নিয়ে সংগ্রাম করেছেন। তিনি বারবার স্বাধীনতার কথা বলেছেন। বাঙালি জাতি একটি স্বাধীন সত্তা নিয়ে গড়ে উঠবে, সে কথা তিনি বারবার বলেছেন। বাংলাদেশের নাম, জাতীয় পতাকার ডিজাইন ও জাতীয় সংগীত তিনিই ঠিক করেছেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বলেছেন, স্বাধীন দেশ হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে হলে আমাদের ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতি বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে হবে। আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা কর্মীর প্রতি আহ্বান করবো, এগুলো মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ স্বীকৃতি পেয়েছে ত্যাগের কারণে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের ওপর বারবার আঘাত আসে। আওয়ামী লীগকে বারবার শেষ করে দেওয়ার আঘাত আসে। জাতির পিতার হাতে গড়া আদর্শভিত্তিক সংগঠন বলে কেউ একে ধ্বংস করতে পারেনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা তৃণমূল পর্যন্ত উন্নয়ন পৌঁছে দিতে পেরেছি। যাদের ঘর বাড়ি নেই, তাদের ঘর তৈরি করে দিয়েছি। খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা এখন পুষ্টি ও চিকিৎসা গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। আমরা ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করেছি।
স্থলসীমান্ত চুক্তি বঙ্গবন্ধু করে গিয়েছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শান্তপূর্ণভাবে ছিটিমহল বিনিময় করি। পার্বত্য শান্তি চুক্তি করি। দেশকে উন্নত করতে চাইলে শান্তি দরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি বিএনপি-জামায়াত জোট স্বাধীনতাবিরোধী, আল শামস, আলবদর, রাজাকাদের নিয়ে এই দেশে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। প্রায় ৫০০ মানুষ তাদের অগ্নিসন্ত্রাসে মারা গেছে। অনেকেই আহত হয়েছে।