ঢাকা: সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকলেও বাংলাদেশে (bangladesh) প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে ধর্ষণ কাণ্ড। এমন দিন নেই যে, এ কাণ্ডটির ব্যতিক্রম ঘটেছে। প্রতিদিনই উঠে আসছে ধর্ষণ কাণ্ড।
বিয়ে করে ঘর-সংসার করার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল এক তরুণ ও কিশোরী। কিন্তু তাদের জীবনেও ঘটলো চরম গ্লানি ও তিক্ততা।
বাংলাদেশের (bangladesh) উত্তর জনপদ জেলা রাজশাহি থেকে এক তরুণ (১৯) ও এক কিশোরী (১৬) বিয়ে করার স্বপ্ন নিয়ে পালিয়ে চলে যায় আরেক জেলা নাটোর (natore) শহরে। দুপুরে তারা বাসা ভাড়া নেন। এ বিষয়টি এলাকার কয়েকজন যুবক জানতে পারে।
রাতে স্থানীয় যুবকেরা ওই যুগলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা বলে বাসায় ঢুকে পড়ে। এরপর তরুণকে বেঁধে রেখে কিশোরীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে যুবকেরা পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী কিশোরী ও ওই তরুণ বিষয়টি নাটোর থানা-পুলিশকে জানায়। পুলিশ অভিযুক্ত তিন যুবককে আটক করেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা।
আটক তিন যুবক হল- সোহান আলী (২৮), রকি হোসেন (২২) ও রনি আহম্মেদ (২৮)। তারা সবাই নাটোর শহরের বাসিন্দা। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়িওয়ালা ও তাঁর স্ত্রীকে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
নাটোর থানা-পুলিশ জানায়-তরুণ ও কিশোরী দুজনেই রাজশাহী (rajshahi) শহরের বাসিন্দা। গতকাল দুপুরে তাঁরা নাটোর শহরে এসে একটি বাসা ভাড়া নেন। ভাড়া নেওয়ার সময় ওই যুগল বাড়িওয়ালার স্ত্রীকে বলেন, তাঁরা বিয়ে করার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছেন।
রাতেই তাঁরা বিয়ে করবেন। তবে বিষয়টি এলাকার কয়েকজন যুবক জানতে পারলে রাত ১১টার দিকে তাঁরা ওই বাড়িতে আসেন। পরে ধর্ষণের কাণ্ডটি ঘটে। রাত দুইটার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত তিন যুবককে আটক করে থানায় যায়।
নাটোর সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ বলেন, ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এমন বহু অপকর্মের ঘটনা প্রতিনিয়ত শোনা যাচ্ছে। এরআগে নোয়াখালী (noakhali) সদর উপজেলায় এক গৃহবধূকে (২৫) ফাঁদে ফেলে একাধিকবার ধর্ষণ ও অশ্লীল ভিডিও চিত্র ধারণের অভিযোগে মেহেদী হাসান ওরফে রাজু (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গৃহবধূর অভিযোগ, মেহেদি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তাঁকে কৌশলে বেগমগঞ্জের চৌমুহনীর রাজ বিলাস নামের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের ভিডিও ও ছবি তুলে রেখে প্রতিনিয়ত তাকে ধর্ষণ করেছে মেহেদি। এরপর অতিষ্ঠ হয়ে তিনি মামলা করেছেন। এদিকে সিলেট (sylhet) জেলার গোলাপগঞ্জে এক কবিরাজের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিতে গিয়ে এক গৃহবধূ (২৫) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
গৃহবধূর মামলার পর পুলিশ কবিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে। রাজধানী ঢাকার (dhaka) অদূরে মানিকগঞ্জ (manikganj) জেলার সিঙ্গাইরে এক তরুণী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ভুক্তভোগী তরুণী (২৩) থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ মনির হোসেন (৩২) নামের এক যুবককে আটক করে।
মনির পেশায় রাজমিস্ত্রি। এদিকে ফেনী জেলার সোনাগাজীতে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জাহাঙ্গিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গত ১৪ জুলাই অভিযুক্ত তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ওসমান হায়দার।