ঢাকা: অস্থিরতা লেগেই আছে Bangladeshর কক্সবাজারের Rohingya শরণার্থী শিবিরে। হরহামেশা ঝড়ছে রক্ত। ফের Rohingya ক্যাম্পে ২ গ্রুপের গুলিযুদ্ধে এক Rohingya যুবক নিহত হয়েছে।
এবার কক্সবাজারের টেকনাফে দুই Rohingya সন্ত্রাসী গ্রুপের গোলাগুলিতে মোহাম্মদ সেলিম (৩০) নামে এক Rohingya যুবক নিহত হয়েছে।
এ তথ্য জানান, উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী। বুধবার উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে তিন গুলিবিদ্ধকে আনা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেলিমের মৃত্যু হলে সঙ্গে আসা তিন ব্যক্তি পালিয়ে যায়।
পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
তিনি জানান, নিহত সেলিম টেকনাফ নয়াপাড়া মোছনী রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের ডাকাত চাকমাইয়া গ্রুপের সক্রিয় সদস্য।উনচিপ্রাং তুতারদিয়া নামক সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসী নবী হোসেন গ্রুপ ও মুন্না গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে সেলিম মারা যায়।
Rohingya শিবিরে হরহামেশা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে উদ্বিগ্ন শেখ হাসিনার প্রশাসন। বিগত দিনে একের পর এক রোহিঙ্গা নেতা খুনের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার।
তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে অভিযান শুরু করা হলেও পরিস্থিতির কাঙ্খিত উন্নতি ঘটেনি। কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে শুরু হওয়া ‘অপারেশন রুটআউট’ বিষয়ে আরমড ব্যাটালিয়নের এক আধিকারীক বলেন, “বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের পাশেই জুন্টার সেনাবাহিনী সঙ্গে একটি সশস্ত্র সংগঠনের লড়াই চলছে বেশকিছু দিন যাবত।
এই কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে জঙ্গিরা ঢুকে পড়েছে। রোহিঙ্গা শিবিরে লুকিয়ে রয়েছে ওই সন্ত্রাসবাদীরা। তাদের পাকড়াও করতে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে অভিযান শুরু করা হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬০ জনেরও বেশি।ক্রমে সন্ত্রাসবাদীদের চারণভূমি হয়ে উঠছে বাংলাদেশেরে রোহিঙ্গা শিবিরগুলি। পুলিশ ও প্রশাসনের হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও সেখানে কিছুতেই থামছে না খুনোখুনির ঘটনা।
গত মাসে এক রোহিঙ্গাকে ইসলামিক স্টেটের কায়দায় গলা কেটে খুন করে জঙ্গিরা। তার আগে বালুখালি ক্যাম্পে দুই রোহিঙ্গা নেতাকে খুন করেছিল জঙ্গিরা। পরপর এহেন ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে শরণার্থী ক্যাম্পে।
রোহিঙ্গা নেতারা এসব ঘটনার জন্য জঙ্গি সংগঠন ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’ বা আরসাকে দায়ী করছেন। তাঁদের অভিযোগ, নিরাপত্তহীনতার কারণে রোহিঙ্গা নেতাদের অনেকে এখন শিবিরের বাইরে বসবাস করছেন।
সূত্রের খবর, রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় রোহিঙ্গা জঙ্গিগোষ্ঠী আরসা। কক্সবাজারে টেকনাফ এবং উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরগুলো পরিচালনায় সহায়তার জন্য প্রতিটি শিবিরে কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা নির্বাচন করা হয়।
যাদের মাঝি বলা হয়। মূলত, এদেরই নিশানা করে জঙ্গিরা। রোহিঙ্গা নেতাদের হিসাবে, গত এক বছরে কমপক্ষে ১২টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন প্রশাসন। প্রায় প্রতিদিনই খুনোখুনি, লুটপাটের ঘটনা ঘটে চলেছে।