বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় মাত্র ৭ মাসের একটি শিশুকে কোভিড-১৯ আক্রান্ত সন্দেহে আইসোলেশন ওয়ার্ডে নেওয়া হয়েছে।
গত ২৩ মার্চ তারিখে শিশুটিকে জ্বর-কাশ-সর্দির জন্যে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সে সময় কিন্তু পরিবারের কেউই কোন কথা বলেননি যে তাঁদের পরিবারের কোন ১ জন বিদেশ ফেরত !
কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার, শিশুটির অবস্থা মন্দের দিকে যাওয়ায় তাঁকে আইসলেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রথম আলো সূত্রে যে ভয়ংকর তথ্যটি জানা গেছে, তা হলো বর্তমানে এতো যন্ত্রণায় কাতরানো শিশুটির বাবা গত ৯ মার্চ সিঙ্গাপুর থেকে ফিরেছিলেন। কিন্তু দেশ-বিদেশের করোনা ভাইরাসের মতো এমন ভয়ংকর পরিস্থিতির কথা জেনেও তিনি কোনপ্রকার নিজেকে সংযম রাখার জন্যে কোয়ারেন্টাইনে যাননি।
আরো এক ভয়ংকর তথ্য হলো এ মুহূর্তে সেই ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না!
আইইডিসিআর শিশুটির নমুনা সংগ্রহ করবে।
তাহলে, এক এক দেশে প্রবাসিরা এসে যেভাবে করোনার বীজ বপন করে দিয়েছেন, তাতে কতটুকু সাবধানতা অবলম্বন করে নিজেকে ঠেকাতে পারবে জনগণ?
এ দায় কে নেবে?
উল্লেখ্য যে, ২৫ মার্চ রাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়া হবে। চিন্তিত হওয়ার মতো কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রির এই বার্তায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা এবং অবিশ্বাস্যের ঝড় উঠেছে। এ মুহূর্তে জনগণ প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না বলে তাঁরা প্রকাশ করেছেন।