আজ বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস । ১৯৬৬ সালের আজকের দিন অর্থাৎ ৭ জুন বংগবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬ দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী গণ-আন্দোলন শুরু হয় ।
ঢাকার ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেছে আওয়ামি লিগ ।
৬ দফা দিবসে উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো৹ আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্যে যাঁরা নিজের জীবন অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন ।
৭ জুন, আওয়ামী লিগের ডাক দেয়া হরতালে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গীতে সৈন্যদের গুলিতে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন বাঙালি শহীদ হয়েছিলেন ।
নিজের অধিকার এবং আত্মদানের পথ ধরে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বুকে আগুন নিয়ে জাতি এগিয়ে যায় ।
এই আন্দোলনের পথ বেয়ে আরম্ভ হয়েছিল বাঙালির চূড়ান্ত স্বাধীনতার সংগ্রাম ।
উল্লেখ্য, এই ৬ দফা না হলে ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান হতো না । গণঅভ্যুত্থান না হলে সত্তরের নির্বাচন হতো না। নির্বাচন না হলে হতো না মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ না হলে দেশ স্বাধীন হতো না।
এই ৬ দফা ছিল নির্যাতিত, নিপীড়িত , শোষিত বাঙালি জাতিকে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর বেড়াজাল থেকে মুক্ত করার জন্যে বাঙালিদের প্রাণের দাবি ।
শেখ মুজিবর রহমান এই ঐতিহাসিক ৬ দফা পেশ করেন ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ।
৬ দফার প্রতি ব্যাপক জনসমর্থন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে স্বৈরাচার আইয়ুব সরকার ১৯৬৬ সালের ৮ মে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করেন ।
৬ দফা আন্দোলন ১৯৬৬ সালের ৭ জুন এক নতুন মাত্রা পায়। বাঙালির প্রাণপ্রিয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৬ দফার প্রতি বাঙালির অকুণ্ঠ সমর্থনে রচিত হয় স্বাধীনতার রূপরেখা।
এদিন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ভাষণে বলেন, ‘ঐতিহাসিক ৬ দফা কেবল বাঙালি জাতির মুক্তি সনদ নয়, সারাবিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণার উৎস’ ।