ইয়াবাসহ সমাজের অপরাধীরা গ্রেপ্তার হয়, কিন্তু শুনেছেন কি পুলিশও হয়? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ, দেশে অপরাধের ধরণ পাল্টাচ্ছে, পুলিশকে প্রস্তুত হবে! কিন্তু সব যে প্রহসন, তা আরো একবার প্রমাণ হয়ে গেল।
রক্ষকই ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছে বাংলাদেশে! রবিবার ইয়াবাসহ উত্তরার ১ম এপিবিএনের ১ নম্বর ব্যারাকসহ পৃথক স্থান থেকে ৫ পুলিশকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সদস্যরা। তাঁদের বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করা হয়েছে। তাঁদের ভিন্ন ভিন্ন সময়ে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত পুলিশের নামঃ গুলশানার থানার এএসআই মাসুদ আহমেদ মিয়াজি, ১ম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল প্রশান্ত মণ্ডল, নায়েক মো. জাহাঙ্গীর আলম, কনস্টেবল মো. রনি মোল্লা ও কনস্টেবল মো. শরিফুল ইসলাম।প্রশান্তের প্যান্টের পকেট থেকে ১৫৮ টি ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর তারিখে গুলশান থানার গুদারাঘাট এলাকায় চেক পোস্টে তল্লাশি চালিয়ে একটি মোটরসাইকেল আরোহীর কাছ থেকে তাঁরা ৩৫০ পিস নেশাযুক্ত ট্যাবলেট পান। কিন্তু সিনেমার কায়দায় ইয়াবা বহনকারীকে ধরা তো দূরের কথা, সমস্ত ট্যাবলেট পুলিশের সদস্যরা নিজের কাছে রেখে দিয়ে আরোহীকে ছেড়ে দেয়! ইয়াবাগুলো বিক্রি করে পুলিশ সদস্যরা টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়।
উত্তরা পূর্ব থানা সূত্রে জানা গেছে, রোববার ১ম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এসআই মো. আবু জাফরসহ একটি দল পুলিশ দক্ষিণ খান থানার হাজি ক্যাম্প এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালানোর সময় তাঁরা পুলিশের মধ্যে ইয়াবার টাকা ভাগের কথা জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে উত্তরা থেকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন পাঁচজনকে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, কনস্টেবল শরিফুলের কাছ থেকে ইয়াবা বিক্রির নগদ ১৫ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।
স্থানীয় জনগণ প্রশাসনের এমন দুষ্কার্যে অত্যন্ত ভীত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, “রক্ষকই যখন দেশে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছেন, তখন আমরা কিভাবে নিজেদের নিরাপদ মনে করবো?”