বিগত ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে কোন করোনা রোগি শনাক্ত করা যায়নি।
সংবাদ প্রকাশ করা অবধি দেশে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮।
আজ, শনিবার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তথ্য মতে, এ পর্যন্ত ১৫ জন করোনা রোগি সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
সারা বিশ্ব যখন করোনা আতংকে কাঁপছে, সে সময় দেশে ২৪ ঘন্টায় একজনও করোনা পজিটিভ না পাওয়া অত্যন্ত আশার বিষয়।
কিন্তু এই বিষয়টি এখানেই থেমে নেই। ছড়িয়েছে অনেক দূর। কারণ প্রথম থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি তথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর হাতে পদক্ষেপ গ্রহণ না করার জন্যে প্রবাসি এবং বিদেশি নাগরিকরা গায়ের জোর খাটিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলছেন, ‘করোনা নিয়ে জনগণের মধ্যে উৎকণ্ঠা আছে, দুশ্চিন্তা আছে। বাংলাদেশ জনবহুল দেশ হওয়ায় করোনার মতো ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে তার প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, আপনারা বুঝতে পারছেন। ইউরোপ, ইরানের মতো দেশ আক্রান্ত হয়েছে করোনায়। এ ভাইরাসে বিশ্বের ১৪৯টি দেশ আক্রান্ত হয়েছে। এখন বিভিন্ন দেশে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়েছে। কেবলমাত্র চীন কন্ট্রোল করছে। তারা কীভাবে কন্ট্রোল করতে পেরেছে, সে বিষয়টি শেয়ার করার জন্য আমাদের কাছেও তাদের একটি চিঠি এসেছে। তারা প্রয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত আছে। সাহায্য ও সহমর্মিতার হাত প্রসারিত করার আভাস দিয়েছে তারা।’
“আমাদের দেশে আমরা এখন পর্যন্ত প্রস্তুত। প্রথম থেকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সব শাখাকে প্রস্তুত করেছেন।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জাতির উদ্দেশে ভাষণকালে বারংবার করে দেশবাসীকে চিন্তিত না হওয়ার জন্যে অনুরোধ করেছেন।
তবে এ মুহূর্তে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক এবং আশ্চর্যজনক ঘটনাগুলো ঘটেই চলেছে।
কক্সবাজারে মোট ২৫৬ জনকে বিদেশিকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ!
উল্লেখযোগ্য যে, দেশের চরম সংকটকালে গত ১৬ দিনে কক্সবাজারে বিভিন্ন দেশ থেকে ২৫৬ বিদেশী নাগরিক এসেছেন। তাদের আসার তথ্য থাকলেও অবস্থান সম্পর্কে এখনো অবধি নিশ্চিত হতে পারছে না পুলিশ। বিদেশ থেকে ফিরে তাঁরা কোনপ্রকার কোয়া্রেন্টাইনে নিজেকে রাখেননি।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৬ দিনে ২ হাজার ১৮৭ জন বিদেশী কক্সবাজার এসেছেন। এর মধ্যে অনেকেই হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। একই সময়ে কক্সবাজার আসা ২৫৬ জন বিদেশী নাগরিক রয়েছেন, যারা গত ১৬ দিনের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মস্থল কক্সবাজারে এসে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা থাকলেও তারা সেটা মানছেন না। এছাড়া পুলিশের কাছে তথ্য গোপন করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা।
বাংলাদেশবাসী সোশ্যাল মিডিয়ায় বারংবার এই চিন্তার উদ্রেক করা বিষয়গুলো নিয়ে লিখছেন। দেশের সাধারণ মধ্যবিত্ত নাগরিক যারা, তাঁরা সরকার-প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করে চলেছেন। কিন্তু মারাত্মক এই ঘটনাগুলো কতটুকু ঢেকে রাখতে পারবে জনগণকে?
এর আগে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর পরিচালক প্রকারান্তরে প্রকাশ করেছিলেন যে, বাংলাদেশে ইতিমধ্যে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়ে গেছে !