ঢাকা: বাংলাদেশে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার শুরা সদস্য ও অর্থ শাখার প্রধান মোশারফ হোসেন ওরফে রাকিবসহ দুই সহযোগীকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা।
এ সময় তাদের কাছ থেকে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ টাকা জব্দ করা হয়। সোমবার (০৫ জুন) রাতে ঢাকার অদূরে গাজিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নতুন জঙ্গি সংগঠনের অর্থ শাখার প্রধান ও তার দুই সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার কারওয়ানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে কক্সবাজার জেলার টেকনাফের রোহিঙ্গা শরনার্থীশিবির থেকে অপহৃত ৪ রোহিঙ্গা যুবক ৩ দিন পর ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়া পেলো।
এ বিষয়টি জানিয়েছেন ক্যাম্পের মাঝি (রোহিঙ্গা নেতা) নুরুল আমিন। মুক্তিপণে ফেরা চার রোহিঙ্গা যুবক হলেন-টেকনাফের ২৫ নম্বর আলীখালি ক্যাম্পের ব্লক ডি/২২ এর বাসিন্দা নুর হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুস (৩২), একই ক্যাম্পের মোহাম্মদ রফিকের ছেলে মোহাম্মদ সুলতান (২৪), আব্দুর রহমানের ছেলে আবদুল্লাহ (১৬) ও মোহাম্মদ সৈয়দের ছেলে আনোয়ার ইসলাম (১৮)।
সোমবার (৫ জুন) রাত ৮টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা আলিখালী ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকা থেকে অপহৃত ৪জন ফেরত আসেন। তবে এর একদিন আগে টাকা না পেয়ে জাহাঙ্গির আলম নামের অপর রোহিঙ্গা যুবককে হাতের কবজি কর্তন করে বাড়িতে ফেরত পাঠায় সন্ত্রাসীরা।
ভিকটিমদের পরিবারের বরাত দিয়ে ক্যাম্পের মাঝি নুরুল আমিন বলেন, শুক্রবার (২ জুন) রাতে টেকনাফের ২৫ নম্বর আলিখালি ক্যাম্প ডি/২০ ব্লকের রহিম উল্লাহর দোকানের সামনে থেকে ৫ জন রোহিঙ্গা যুবককে অস্ত্রধারী ১২-১৪ জনের একটি সন্ত্রাসী দল অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পর মুক্তিপণের ৫ লাখ টাকা না পেয়ে জাহাঙ্গির আলম নামে একজনের বাম হাতের কবজি কর্তন করে বাড়িতে ফেরত পাঠায়।
এরপর সোমবার রাত ৮টার দিকে বাকি ৪ জনের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়ে তাদের উপর নির্যাতন করে ছেড়ে দেওয়া হয়। অপহৃত ভিকটিমরা সন্ত্রাসীদের কবল থেকে মুক্ত হয়ে এনজিও সংস্থার হাসপাতাল আইপিডিতে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তারা বাড়িতে ফেরত যায় বলে জানা গেছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বে থাকা ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপ অধিনায়ক (মিডিয়া) পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অপহৃত ৪ রোহিঙ্গা যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মুক্তিপণের বিষয়ে আমার জানা নেই।
উল্লেখ্য, বিগত ৭ মাসে টেকনাফে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়সহ প্রায় ৮০ জনের অধিকজন অপহরণের শিকার হয়েছেন।
অপহৃত প্রত্যকের উপর চালানো হয় মধ্যযুগীয় নির্যাতন এবং অনেকেই হত্যার শিকার হয়েছে দুষ্কৃতীদের হাতে।