মুক্তিযোদ্ধার ভাতা লাভের জন্যে প্রয়োজন হবে উপযুক্ত প্রমাণ পত্র। প্রমাণ দিতে না পারলে ভাতা স্থগিত করা হবে। এখন অবধি প্রমাণ- পত্র ছাড়া যাঁদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের ভাতা স্থগিত করা হবে। ইতিমধ্যে প্রায় ৮০ হাজারের অধিক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ভাতা নিচ্ছেন। দাবি ৭১ এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের।
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় মোট চারটি মানদণ্ড নির্ধারণ করে দিয়েছে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণের জন্যে। চার মানদণ্ডের অন্তত একটি মানদণ্ডে যদি নাম না পাওয়া যায়, তাহলে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন না।
জারি করা প্রামাণ্য চারটি মানদণ্ড হল যথাক্রমে, ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তিযোদ্ধা, বেসামরিক গেজেট এবং বাহিনীর গেজেট।
গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ হল, এই চারের ভিতর যে কোন একটি মানদণ্ডে নাম থাকলে ৩০ জুনের মধ্যে আবেদন সম্পূর্ণ করে মন্ত্রণালয়ে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমাণ্ড কাউন্সিলের সাময়িক সনদ স্থগিত রাখা হয়েছে। ৪৭ হাজার মুক্তিযোদ্ধার এই সনদ রয়েছে বলে জানা গেছে।
মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সনদ স্থগিত রাখার কারণ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত সনদ অত্যন্ত সহজ প্রক্রিয়ায় চলছে, ফলে প্রচুর মানুষ জালিয়াতির আশ্রয় নিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার শেখ হাসিনার স্বাক্ষর স্ক্যান করে সনদ জাল করার মত দুষ্কার্যে লিপ্ত হচ্ছেন।
এবার থেকে সরকার কড়াকড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
যে চারটি মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে, তার বহু ভাগ রয়েছে।
যেমন ভারতীয় তালিকা–
১–পদ্মা
২– মেঘনা
৩–সেক্টর
৪–সেনা
৫–নৌ
৬–বিমান বাহিনী
বেসামরিক গেজেট–
১–বেসামরিক গেজেট
২–মুজিবনগর
৩–বিসিএস
৪–স্বাধীন বাংলা বেতার শব্দসৈনিক
৫–বীরাঙ্গনা
৬–স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল
৭–ন্যাপ কমিউনিষ্ট পার্টি ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী
৮–বিসিএস ধারণাগত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা
৯–বিশ্রামগঞ্জ হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করা মুক্তি্যোদ্ধা গেজেট
বাহিনী গেজেটের ভিতর
১–সেনা
২–বিমান
৩–নৌ
৪–নৌ কমাণ্ড
৫–বিজিবি
৬–পুলিশ
৭–আনসার বাহিনী গেজেট
অন্যদিকে লাল মুক্তিবার্তার ভিতর আবার ‘লাল মুক্তিবার্তা’ এবং ‘লাল মুক্তিবার্তা স্মরণীয় যারা বরণীয়
যারা’ নামে দুটো ভাগ রয়েছে।