ঢাকা: আশঙ্কা করা হয়েছিল বাংলাদেশের ওপর আঘাত হানতে চলেছে ‘হামুন’। তবে সে শঙ্কা কাটিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ অতিক্রম চলে গিয়েছে মায়ানমারে।
অবশ্য সংলগ্ন কক্সবাজার উপকূলে মঙ্গলবার রাতে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। এদিন সন্ধ্যা ৭ টার পর মহেশখালী-কুতুবদিয়ার উপকূল দিয়ে স্থলভাগে উঠে আসতে শুরু করে ঘূর্ণিঝড়টি। এসময় প্রবল গতিতে ঝাড়ো হাওয়াসহ ভারী বর্ষণ শুরু হয়। যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে। টানা দুই ঘণ্টা পর দুর্বল হয়ে যায় ‘হামুন’।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে দেয়াল ও গাছের নিচে চাপা পড়ে কক্সবাজারে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন অন্তত ১০ জন। কক্সবাজার সদর, মহেশখালী ও চকরিয়া উপজেলায় তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন, পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী এলাকার আবদুল খালেক (৪০)। রাত ৯টার দিকে ঘরের দেয়ালে চাপা পড়ে মারা যান তিনি। দ্বিতীয়জন মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের কবরস্থান এলাকার হারাধন দে (৪৫)। তিনি রাত ৮টার দিকে গাছচাপা পড়ে মারা যান। অপরজন হলেন চকরিয়া উপজেলার আজগর আলি (৫০)।
তিনিও গাছ চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন।মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে হামুন। সেখানেও বহু গাছ ভেঙে পড়েছে। সাগর ‘খুবই উত্তাল’ থাকায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানো হয়। পাশাপাশি অপর দুই সমুদ্রবন্দর মোংলা ও পায়রাকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছিল।
তবে হাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের ৯ অঞ্চলের ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া উপকূল অঞ্চলে সারাদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।পাশাপাশি দেশের অন্যান্য স্থানে মেঘলা আকাশসহ কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় হামুন দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।ঘূর্ণিঝড়টি বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে যাবে।