ঢাকা: ঝড়ের কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরে (bay of Bengal) ডুবে গিয়েছে ১৫টি ট্রলার। ওইসব ট্রলারের নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের মধ্যে গত ২ দিনে ৩ শতাধিককে উদ্ধার করা হলেও এখনো নিখোঁজ আছেন ১২৪ জন।
নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের মধ্যে আলীপুর (alipur) এলাকার ১১২ জন এবং মহিপুর (mohiour) এলাকার ১২ জন।
মৎস্যজীবী মালিক সমিতির উদ্ধারকারী ট্রলার ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা পৃথক অভিযান চালিয়ে সুন্দরবন ও সাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ভাসমান অবস্থায় ৩ শতাধিক মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেন বলে জানিয়েছেন আলীপুর (alipur) মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আলীপুরের (alipur) এখনো ৬টি ট্রলারসহ ১১২ জন মৎস্যজীবীর হদিস মিলছে না। প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় ও সাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে আমাদের এখানে ট্রলারডুবি ঘটে। মূলত আমাদের এখানে কোনো উদ্ধারকারী নৌযান নেই।’
মহিপুর (mohipur) আড়ত মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা বলেন, ‘আমাদের এখানে ১২ মৎস্যজীবীসহ ‘এফবি মা বাবার দোয়া’ নামের একটি ট্রলার নিখোঁজ আছে।
তবে, ডুবে যাওয়া ১৫ ট্রলারের সব মৎস্যজীবীর সন্ধান পাওয়া গেছে। কিছু মৎস্যজীবীকে ভারতে উদ্ধার করা হয়েছে। আশা করছি এসব মৎস্যজীবীকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার সহযোগিতা করবে।
‘পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান বলেন, ‘মৎস্যজীবীদের পরিবারেরর খোঁজ-খবর নিয়েছি। তারা এখানে একটি দুর্যোগ সহনশীল উদ্ধারকারী নৌযানের দাবি জানিয়েছে। আমি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করব এবং জাতীয় সংসদ উপস্থাপন করব।’