ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) ধারের ২০ হাজার টাকা আনতে গিয়ে এক যুবতী ১০ জনের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। পুলিশ ১০জন ধর্ষককেই গ্রেফতার করেছে। শ্লীলতাহানী শিকার হওয়া যুবতী ধর্ষকদের হাত থেকে বাঁচতে মঙ্গলবার রাত ২টায় জাতীয় জরুরি পরিষেবা ৯৯৯ নম্বরে রিং করেন।
বাংলাদেশের (Bangladesh) ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা পুলিশ অভিযুক্তের কল পেয়ে ওই বিধবা নারীকে (৪০) উপজেলার লংগাইর ইউনিয়নের কাজা গ্রাম থেকে উদ্ধার করে।
পুলিশ গণধর্ষণে জড়িত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তাকৃতরা হল—সজীব (৩৯), হানিফা মিয়া (৩০), আল আমিন (৩৫), মোস্তফা (৪৫), জুয়েল কুমার (২৮), শরিফুল (৩০), মনির (৩২), বাবুল (৩৬), মানিক (৫৬) এবং জাকির (৩০)।
পাগলা থানার ওসি সজীব রহমান বলেন, ভিকটিম বিধবা যুবতী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দা। তিনি ভালুকা পৌর শহরের মেজরভিটা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
ওই নারীর সঙ্গে কাজা গ্রামের সজীব ও হানিফার পূর্ব পরিচয় ছিল। রবিবার ওই যুবতী সজীবের কাছে পাওনা ২০ হাজার টাকা ফেরতের জন্য তাগাদা দিলে সজীব রাতে ফোন করে যেতে বলে। যুবতী রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাজা গ্রামে যান।
কাজা গ্রামের একটি ধানক্ষেতে নিয়ে ওই বিধবা নারীকে সজীব ও তার ১০ বন্ধু মিলে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে।রাত ২টার দিকে ওই নারী ধর্ষকদের হাত থেবে বাঁচতে জাতীয় জরুরি পরিষেবায় ফোন করেন। পুলিশ ওই নারীকে রাত ৩টার দিকে ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করে।
পুলিশ প্রথমে সজীবকে গ্রেপ্তার করে। সজীবের স্বীকারোক্তিতে অভিযান চালিয়ে রাতেই অভিযুক্ত আরও ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।ওসি মো. রাশেদুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তারকৃত ১০ জনকে শনাক্ত করেছে ভিকটিম।