সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে করোনা মোকাবিলার জন্যে, অন্যদিকে একাংশ অসচেতন জনগণ সে আশংকা বাড়িয়ে তুলছেন। চারদিকে করোনা মহামারি ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
প্রথম আলো সূত্রে জানা যাচ্ছে, সার্স করোনা প্রতিরোধ সংকল্পে বাংলাদেশ সরকারের ছুটি ঘোষণা করার পরই মোট ১ কোটি ১০ লক্ষ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী মানুষ ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
শুধু তাই নয়, তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন ৪ লক্ষ ৮০ হাজার বিদেশ ফেরত মানুষও!
এই তথ্য জানাচ্ছে, মোবাইল ফোন অপারেটরদের তথ্যের ভিত্তিতে ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) র কর্মকর্তারা।
উল্লেখযোগ্য যে, করোনার প্রকোপের জন্যে এবং তা মোকাবিলার জন্যে ২৬ মার্চ থেকে আগামি ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
ছুটি ঘোষণা শুনেই একাংশ দেশের মানুষ ছোটাছুটি আরম্ভ করে দেন গ্রামে যাওয়ার জন্যে। বাস প্রভৃতিতে প্রচণ্ড ভিড় পরিলক্ষিত হয়। কোথায় জনসমাগম না করার নির্দেশ পালন করা, কোথায়ই বা সুরক্ষা ?
এই মর্মে জাতিসংঘের এক নথিতে বলা হচ্ছে, এঁদের মধ্যে যদি কেউ করোনা বাহক হয়ে থাকেন, তাহলে বিপদ দেখা দিতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ ও সংক্রমণশীল লোকজন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছেন। ফলে অত্যন্ত ভয়াবহ হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। এদিকে এও বলা হচ্ছে যে, ঢাকা থেকে করোনার বোঝা কমে গেছে, তবে তা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা থেকে যাচ্ছে!
তবে এ হিসেব শুধুমাত্র মোবাইল ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে। তাঁদের সঙ্গে যদি বাচ্চা শিশু বা অন্যান্য কেউ থেকে থাকেন, যারা ফোন ব্যবহার করেন না, তাঁদের হিসেব তো বের হয়নি! সুতরাং পরিসংখ্যানগত দিক দিয়ে এ সংখ্যা ১ কোটিতে সীমাবদ্ধ নেই।
এদিকে কক্সবাজারে ২৫৬ জন বিদেশি নাগরিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! আশ্চর্যজনক এবং ভয়াবহ হলেও সংবাদগুলো দেশের মানুষের জন্যে জরুরি। কারণ প্রত্যেককে এ মুহূর্তে ব্যক্তিগত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
এর আগেও এমনই ১৭ জনকে নিয়ে প্রচণ্ড বিপাকে পড়েছে পুলিশ। বিদেশফেরত রাজশাহির বাগমারার ১৭ জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কোন হদিশ না পাওয়ায় তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইনেও রাখা যায়নি, অথবা তাঁদের পূর্ণ ঠিকানা পুলিশের কাছে নেই বলেই জানা যাচ্ছে। সংবাদ প্রকাশ করা অবধি তাঁদের সম্পর্কে কোন নতুন খবর এসে পৌঁছায়নি।