গোটা ভারত করোনার থাবায় বিধ্বস্ত । ঠিক এসময়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে বিভিন্ন সমৃদ্ধিশালী ও মূল্যবান বৃক্ষ রোপণ করা অবশ্যই সময়োপযোগী পদক্ষেপ । কিন্তু সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের দায়বদ্ধতা স্বীকার করা এর থেকেও জরুরী ।
শুক্রবার বন বিভাগের কালাইন সংমণ্ডলের উদ্যোগে ৪৬তম বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন উপলক্ষে কাটিগড়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,সরকারী ও বেসরকারী কার্যালয় সহ কালাইন সংমণ্ডলের অধীন বিভিন্ন ফরেস্ট বিটে বৃক্ষ রোপন সহ বৃক্ষের চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে এই মন্থব্য করেন কালাইন বন সংমণ্ডল আধিকারিক পিঙ্কু সিং ।
পরিবেশ প্রদুষণ রোধে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে গ্রীন মিশন শিবিরের অধীন শুক্রবার কাটিগড়া শিক্ষা ব্লকের অন্তর্গত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারী কার্যালয়ের পাশাপাশি খণ্ড উন্নয়ন কার্যালয় কাটিগড়া ও কালাইন,কাটিগড়া সার্কেল অফিস কার্যালয়,কাটিগড়া পুলিশ ষ্টেশন সহ কালাইন, গুমড়া ও বিহাড়া পুলিশ আউটপোষ্টে গাছের চারা রোপন সহ বিতরণ করা হয়। এদিন বিভাগীয় তরফে প্রদত্ত বিভিন্ন ধরনের সমৃদ্ধিশালী ও মূল্যবান গাছের চারা যেমন অর্জুন,বাহেরা,কৃষ্ণচুড়া, রাধাচূড়া,গোয়াবা,আমলুকি,মাহানিম,গোবানিম, পমা,জামুন,থেক,রেণ্টার, বিক্স ও অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা রোপন ও বিতরণ করা হয়।
বৃহৎ এই কর্মসূচীর সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন রেঞ্জ অফিসার পিঙ্কু সিং। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি ও বেসরকারী কার্যালয়ে চারা রোপন করে প্রতিটি গাছের প্রতি যত্নবান্ হওয়ার পাশাপাশি সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের দায়বদ্ধতা স্বীকার করার উপর জোর দিয়ে প্রত্যেকটি সরকারি কার্যালয়ের আধিকারিক ও কর্মীদের আহবান জানান তিনি। গাছের চারা রোপন করাই শেষ নয় রোপনকৃত চারাগুলি কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত যত্ন নেওয়ার প্রতি আহবান জানান রেঞ্জ অফিসার । এদিন পরিবেশ দিবস উদযাপন উপলক্ষে রেঞ্জের অন্তর্গত বিভিন্ন ফরেস্ট বিট সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সরকারী,বেসরকারী কার্যালয়ে প্রায় ৪০০টি গাছের চারা রোপন করা হয়। একইসঙ্গে প্রায় ৪ হাজার চারা বিতরণ করা হয়। তাছাড়া কালাইন সংমণ্ডলের অধীন বিভিন্ন বিট অফিসে আগন্তুক দিনে চারা রোপন কর্মসূচী বহাল থাকবে বলে জানান পিঙ্কু । জীব বৈচিত্রের পরিবেশ রক্ষার্থে বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা রোপন করার উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয় গোটা অনুষ্ঠানে। এদিনের কর্মসূচীতে রেঞ্জের অন্তর্গত বিভিন্ন ফরেস্ট বিটের কর্মী সহ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।