AIDS– রোগটির নাম শুনলেই আতঙ্ক গ্রাস করে। এর পুরো নাম হচ্ছে, Acquired Immuno Deficiency Syndrome) বা “অর্জিত প্রতিরক্ষার অভাবজনিত রোগলক্ষণসমষ্টি।
AIDS এর নাম শুনলেই আমাদের সমাজ এখনো মনে করে এই বুঝি আক্রান্ত ব্যক্তিটি যৌন সংসর্গ করেছেন। জানা প্রয়োজন যে, শুধু যৌন সংসর্গের মাধ্যমেই AIDS ছড়ায় না, আরো অনেক কারণে রোগটি হতে পারে। এই বিষয়ে এখনো প্রচুর সজাগতার প্রয়োজন রয়েছে।
অসংখ্য মানুষ প্রতিবছর এইডস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। মারা যাচ্ছে।
AIDS রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো কী কী?
AIDS কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়। যেমন একই বাতাসে নিঃশ্বাস নিলে, হাত মেলালে, জড়িয়ে ধরলে, চুম্বন খেলে, বা একই পাত্রে খাবার খেলে, জল খেলে, এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত ব্যক্তিগত সামগ্রী ব্যবহার করলে, আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত টয়লেট ব্যবহার করলেও কেউ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন না।
তবে AIDS রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জেনে নেয়া প্রয়োজন, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া যাবে।
কারো কারো জ্বর, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, গলা ব্যথা ইত্যাদি ফ্লুর মতো লক্ষণগুলি দেখা যায়। লক্ষণগুলি সাধারণত সংক্রমণের এক অথবা দুই মাসের মধ্যে দেখা যায়। অনেকের আবার টানা দুই সপ্তাহ ধরেও হতে পারে।
– জ্বর
– গলা ব্যথা
– জয়েন্টে বা গাঁটে ব্যথা
– রাতের দিকে ঘাম হওয়া
– ডায়েরিয়া
– শারীরিক উন্নতি দেখা দিলেও এইচআইভিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একটি দুর্বল ইমিউন সিস্টেম তৈরি করা হয়।– যে সংক্রমণগুলি একসময় ছোট ছিল, হতে পারে মুখের মধ্যে ক্যানকার ঘা, বা দাঁতের ফোড়া বা গহ্বর, সেগুলো কিন্তু উল্লেখযোগ্য ব্যথা হতে পারে।
আর এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এই সংক্রমণ থেকে পুনরুদ্ধার করা আরো বেশি কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
– বার বার করে সর্দি, কাশি ইত্যাদি উপসর্গগুলি দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও মহিলাদের ক্ষেত্রে মেন্সট্রুয়াল সাইকেলের দিকে খুব নজর রাখা দরকার।বেশ কিছুদিন ধরে স্বাভাবিকের তুলনায় যদি রক্তক্ষরণ কম হতে থাকে, তাহলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াটা খুব প্রয়োজন।
– এক সপ্তাহ, বা কয়েক মাস ধরে পেটের গন্ডগোলে ভুগতে থাকলে সাবধান হতে হবে।
– চোখ, নাক, মুখ, পিঠ, গলায় যদি লাল, গোলাপী, কালো রঙের র্যাশ বেরোতে শুরু করে, সেক্ষেত্রেও কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।– শরীরের ওজন কমতে থাকলে।
খেয়াল করবেন, একটি প্রতীক হিসেবছ লাল ফিতছূ ব্যবহার করা হয়।প্যাঁচানো মতো থাকে।লাল ফিতা, যা
এইচ.আই.ভি.
ভাইরাস (মানব প্রতিরক্ষা অভাবসৃষ্টিকারী ভাইরাস) দ্বারা সংক্রামিত ব্যক্তি এবং এইডস রোগে আক্রান্তদের সাথে সহমর্মিতা প্রকাশের প্রতীক।
অনেক কারণেই এইডসের সংক্রমণ হতে পারে।
¶ এটি শরীরের ফ্লুইড- যেমন রক্ত, বীর্য, প্রি-সেমিনাল ফ্লুইড, যোনি, মলদ্বার ফ্লুইড, সংক্রমিত মহিলার বুকের দুধের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।
¶ এইডস সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে অসুরক্ষিত যৌন মিলনে সঙ্গীর মধ্যে মারণ রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
¶ সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে ইঞ্জেকশনের সুচ, রেজার ব্লেড, ছুরি শেয়ার করার ফলেও এই রোগ সংক্রমিত হতে পারে অন্যের মধ্যে। তাই অন্যের ব্যবহার করা এমন জিনিস ব্যবহার করবেন না।
এই রোগ পুরোপুরি সারে না। তবে, সাবধানতা অবলম্বন করা যেতে পারে এই রোগ থেকে বাঁচতে। যেমন- যৌন মিলনের সময় সুরক্ষা নেওয়া, অন্যের ব্যবহার করা সুচ বা ব্লেড ব্যবহার করবেন না। সাবধানে থাকুন, সুস্থ থাকুন।