শিলচর: অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (assam cm himanta biswa sarma)আসন্ন দুর্গাপুজোয় (durga puja) আয়োজকদের চাঁদা সংস্কৃতি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে আসন্ন বরাক সফরে তাঁকে এই উপত্যকার পুজোকমিটি গুলিকে যথা সম্ভব আর্থিক অনুদানের ঘোষণা করার আহ্বান জানাল বরাক ডেমোক্রেটিক যুব ফ্রন্ট (bdyf)।
এক প্রেস বার্তায় যুব ফ্রন্টের কার্যকরী আহ্বায়ক দেবায়ন দেব বলেন যে বিগত বন্যায় এই উপত্যকার (barak valley)অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে এবার পুজোর বাজেট যোগাড় করতে সব পুজো (durga puja ) কমিটিকেই যথেষ্ট অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে কারণ সেভাবে চাঁদা সংগৃহীত হচ্ছে না।
তিনি বলেন যে মুখ্যমন্ত্রী ষষ্ঠীর সকালে বরাক (barak valley) সফরে আসছেন। তাই সেদিন বরাকের (barak) পুজোকমিটি গুলোকে সরকারি তরফে যথাসম্ভব আর্থিক অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিতে তাঁরা যুবফ্রন্টের পক্ষ থেকে তাঁকে আহ্বান জানাচ্ছেন।
দেবায়ন আরো বলেন যে এই ব্যাপারে তাঁরা আগেই সরব হয়েছিলেন এবং করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ্য দে পুরকায়স্থও মুখ্যমন্ত্রীকে এই উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
গতবার বিহু উৎসব আয়োজক কমিটিগুলোকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এতে রাজ্যবাসী হিসেবে সবাই খুশি হয়েছেন। একইভাবে বন্যায় বিধ্বস্ত এই উপত্যাকার দুর্গাপুজো (durga puja) আয়োজক কমিটিগুলোকে এইবার সরকারি তরফে আর্থিক অনুদান দেওয়া হলেও রাজ্যবাসী যারপরনাই আনন্দিত হবেন।
তাই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার প্রতীক্ষায় থাকবেন বলে মন্তব্য করেন দেবায়ন। যুবফ্রন্টের আরেক আহ্বায়ক ইকবাল নাসিম চৌধুরী বলেন যে ইদানীং রাজ্য সরকারের (assam govt) ৮০০ পুলিশ কর্মী এবং ২৩০০০ তৃতীয় শ্রেণীর পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে , কিন্তু অনেকেরই সন্দেহ যে বরাকের (barak) তিন জেলা থেকে খুবই কমসংখ্যক প্রার্থী এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন যে তাই আসন্ন সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রীকে এই ব্যাপারে সঠিক তথ্য জানাতে তিনি অনুরোধ জানাচ্ছেন। ইকবাল বলেন যেহেতু বরাকের সাধারণ জনগনের ভোট এই সরকারকে ক্ষমতায় আনার ব্যাপারে যথেষ্ট সহায়তা করেছে তাই নিয়োগের ব্যাপারে এই উপত্যকা (barak valley) বঞ্চিত হচ্ছে কিনা সেই সন্দেহ নিরসন করা মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
তাই মুখ্যমন্ত্রীকে এই ব্যাপারে বরাকবাসীকে অবগত করানোর অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়া যুবফ্রন্টের এই দুই আহ্বায়কই বরাকের পুজো কমিটি গুলিকে আসন্ন পুজোয় প্যান্ডেলে তথা বিসর্জনে বাংলা এবং আঞ্চলিক ভাষার গান বাজানোর অনুরোধ জানান।
তাঁরা বলেন যে দুর্গোৎসব ধর্মীয় পরিচিতির গন্ডী ছাড়িয়ে বাঙালিদের জাতীয় উৎসবের মর্যাদা প্রাপ্ত। তাই এই উৎসব যাতে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার আধার হয়ে উঠে সে ব্যাপারে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। তারা আরো বলেন ইদানীং এই উপত্যাকায় কোথাও কোথাও উৎসবে হিন্দিবলয়ের সস্তা অপসংস্কৃতি আমদানি করা হচ্ছে।
কিছুদিন আগে করিমগঞ্জে একটি পুজোয় এই ধরনের কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হয়েছে। যুবফ্রন্টের উভয় আহ্বায়ক বলেন যে কোন মুল্যে এসব অপচেষ্টা রুখতে হবে। তাই আগামী পুজোয় যাতে সমস্ত পুজো মন্ডপ সুস্থ বাঙালিয়ানা ও আঞ্চলিক সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র হয়ে উঠে সেই ব্যাপারে যত্নবান হতে সব পুজো কমিটি গুলিকে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা।
বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে।