ধর্মীয় হিন্দুদের আর পাঁচটা বৃহৎ উৎসবের মধ্যে ভাইফোঁটা বা ভাতৃদ্বিতীয়া হিন্দুদের একটি বড় উৎসব।ভাই-বোনদের পবিত্র সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে তুলতেই মূলত এই উৎসব।
মঙ্গলবার মফঃস্বল কাটিগড়ার ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া বা ভাইফোঁটা।
পঞ্জিকা মতে, কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় দিনে অর্থাৎ কালীপুজোর দু’দিন পরে পালিত হয় ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি।
হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ভাইফোঁটা উপলক্ষে সাধারণ মানুষের বাড়িতেও আজ উৎসবের আমেজ। উপোস করে থাকা বোন–দিদিরা ভাই আসবে বলে আয়োজন চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে মিষ্টির দোকান, শপিং মলে নেমেছে কেনাকাটার ভিড়।
সোমবার থেকেই সেই ভিড় পরিলক্ষিত হয়। ভাইয়ের আয়ু বৃদ্ধি এবং কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করবেন তাঁরা। আর ভাই–দাদারা বোন–দিদির মঙ্গল কামনা করে আজকের দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখবেন।
গ্রাম কাটিগড়ার বিভিন্ন এলাকায় একই চিত্র ধরা পড়েছে। ভাইফোঁটার আগেই সোমবার সকাল থেকেই হাটবাজার সর্বত্রে দোকানগুলিতে ভাইফোঁটার কেনাকাটার ভিড় ছিল লক্ষণীয়।
আধুনিক উপহার সামগ্রীর দোকানগুলিতে ভাই–বোনেদের ভিড় ছিল বেশি।
পুজো–সহ বিভিন্ন উৎসবে জামাকাপড় তো কেনাই হয়। তাই ভাইফোঁটায় পোশাকের প্রতি আগ্রহ কমতে দেখা যাচ্ছে। সেই তুলনায় উপহার সামগ্রীর প্রতি ঝোঁক বাড়ছে মানুষের।
তবে ভাইফোঁটাকে ঘিরে জামাকাপড়ের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে বহু দোকান নির্দিষ্ট কেনাকাটার ওপর লটারির ব্যবস্থা রেখেছে।উল্লেখ্য, মহাভারতের বর্ণনা অনুযায়ী, শ্রীকৃষ্ণ এবং তাঁর বোন শুভদ্রা সম্পর্কে একটি কাহিনি কথিত রয়েছে।
বলা হয়, নরকাসুর দমনের পর শ্রীকৃষ্ণ এই ভাইফোঁটার দিনেই বোন শুভদ্রার কাছ থেকে ফোঁটা নেন। তার পর থেকেই ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে ভাইফোঁটা।