
সমগ্র দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পার্বত্য ডিমা হাসাও জেলায়ও মারনব্যাধি কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের আনুষ্ঠানিক সূচনা অর্থাৎ মানুষের দেহে প্রয়োগের কাজ আরম্ভ হবে আগামী ১৬ জানুয়ারি।
আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রয়োগের কাজের শুভ সূচনা হবে। রাজ্য সরকারের দ্বারা অনুমোদিত পার্বত্য ডিমা হাসাও জেলার দুটি পৃথক টিকা কেন্দ্র ক্রমে হাফলং সিভিল হাসপাতাল এবং উমরাংশু কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে ১৬ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক টিকাকরণ কর্মসূচির শুভারম্ভ হলেও পরবর্তী সময়ে জেলার পৃথক দশটি সরকারী অনুমোদিত কেন্দ্রে তা পাওয়া যাবে।
বুধবার হাফলঙে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানান জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালক ডা: দীপালি বর্মণ।
তিনি বলেন কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনটি পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত চিকিৎসক থেকে নার্স তথা প্রথমসারির স্বাস্থ্যকর্মী এবং আইসিডিএস কর্মীদের পাশাপাশি থাকবে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, সুপারভাইজার এবং সিডিপিও।
তিনি বলেন হাফলং সিভিল হাসপাতালে ১৪৭ জন হিতাধীকারী থাকার বিপরীতে উমরাংশুতে ২৬১ জন। তিনি বলেন পার্বত্য জেলায় মোট এক হাজার নয়শো পঞ্চাশ জনকে আপাতত ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। যাদের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। জোর করে কাউকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। নাম নথিভুক্তরা স্বেচ্ছায় এসে নিতে হবে।
ভ্যাকসিনটি মানুষের বাহুর উপরের অংশে প্রয়োগ করা হবে। ভ্যাকসিনটি ০.৫ মিলি করে দুটি মাত্রায় দেওয়া হবে।
প্রথম ডোজ দেওয়ার ২৮ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। ডা: বর্মণ বলেন কোভিশিল্ড নিরাপদ এবং কার্যকর ভ্যাকসিন। দ্বিতীয় ডোজ এর ১৪ দিনের পর থেকে শরীরে ইমিউনিটি বিকাশ শুরু হবে।
অবশ্য প্রথম পর্যায়ে প্রথম সারির স্বাস্থ্য কর্মীদের দেওয়া হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে সরকারি কর্মী। এরপর ক্রমে পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের যাদের ইমিউনিটি তুলনামূলক ভাবে কম এদের বেছে নেওয়া হবে। এছাড়া পঞ্চাশের কম বয়সীদের যাদের ডায়বেটিক বা হেপাটাইটিস আক্রান্ত তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে ।
অবশ্য এরপর পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং চাহিদার উপর নির্ভর করে সাধারণ জনগণকে কোভিশিল্ড দেওয়া হবে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জনৈকা চিকিৎসক জানান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে যুগ্ম সঞ্চালক ডা: দীপালি বর্মণ বলেন এমনিতে পার্শ প্রতিক্রিয়া নেই। তবে খুব বেশী সাধারণ টিকার ক্ষেত্রে যেমন জ্বর বা হাল্কা ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
তিনি বলেন টিকা দেওয়ার পরেও কোভিড ১৯র সমস্ত প্রোটোকল বজায় রেখে চলতে হবে। যেমন মাস্ক পরিধান করা, ঘন ঘন হাত ধোয়া এবং সামাজিক ব্যবধান বজায় রাখা ইত্যাদি।