নয়া দিল্লির তবলিগী জামাতে অংশ নেয়া মোট ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি বিদেশি নাগরিককে ব্ল্যাকলিস্টেড করা হয়েছে।কেন্দ্ৰীয় সরকার গ্ৰহণ করা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামি ১০ বছর তাঁরা ভারত ভ্রমণ করতে পারবেন না। স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত সরকার।
জামাতকারীদের বিরুদ্ধে রয়েছে লকডাউনের বিধি লঙ্ঘন, টুরিস্ট ভিসায় ভারতে এসে ধর্মীয় কার্যকলাপে জড়িত হওয়ার অভিযোগ। উক্ত জামাতে হাজির বহুজনের করোনা পজিটিভ ছিল।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়য়ের পক্ষ থেকে এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, তাবলিগি জামাতদের সংস্পর্শে আসায় দেশে ১৫,০০০ জন মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
মৌলানা সাদ, তাঁর ছেলে-সহ অনেকের উপরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নজর রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে লকডাউন ভাঙার অভিযোগ রয়েছে। দিল্লিতে তবলিগি জামাতে হেডকোয়ার্টার নিজামুদ্দিন মার্কাজে এক বিশেষ সভায় তাঁরা যোগ দিয়েছিলেন। সেই ধর্মীয় জমায়েত নিয়ে অনেক বিতর্কও সৃষ্টি হয় দেশজুড়ে ৷
উল্লেখযোগ্য যে, দিল্লির নিজামুদ্দিন এরপরই করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সবচাইতে বড় হটস্পটে পরিণত হয়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেই সময় ইন্দোনেশিয়া, মালেশিয়া এমনকি বাংলাদেশ থেকেও জামাতে অংশগ্রহণের জন্যে এসেছিলেন জামাতকারীরা। শুধু তাই নয়, অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই চলে গিয়েছিলেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। অসম, পশ্চিমবঙ্গ থেকেও গিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু ফিরে এসে নিয়মানুযায়ী কোয়ারেন্টাইনে থাকেননি একাংশ। এছাড়া অসমে করোনার আবির্ভাব ঘটেছে এই জামাতকারীদের থেকেই!