শিলচর: অসমের (assam) বরাকের (barak) বৈধ সুপারি ব্যবসায়ীদের ভাতে মারার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বিডিএফ (bdf) এর ১৮ নভেম্বরের ডাকা বরাক (barak) বনধের অন্যতম দাবিগুলির মধ্যে বরাকের (barak) সুপারি ব্যবসায়ীদের অকারণ হেনস্থা বন্ধ করার দাবিও অন্তর্ভুক্ত করল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (barak democratic front)।
এক প্রেস বার্তায় ফ্রন্টের মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় (pradip dutta roy) বলেন যে সরকার একদিকে বরাকের (barak) কর্মপ্রার্থীদের চাকরি দিতে আগ্রহী নয় ,অন্যদিকে বার্মিজ সুপারির অবৈধ ব্যবসা বন্ধের অজুহাতে এখানকার সুপারি ব্যবসাকে বন্ধ করার চক্রান্ত করছে।
এভাবে বরাকের (barak) অর্থনীতিকে সম্পূর্ণ নষ্ট করে দিতে চাইছে সরকার। তিনি বলেন কৃষিজ পন্য হিসেবে বরাকে (barak) চা শিল্পের পরই সুপারির স্থান এবং হাজার হাজার পরিবার এর উপর ভিত্তি করে দিন গুজরান করেন।
কিন্তু গত কয়েকমাস ধরে এই ব্যবসার ব্যাপারে যেভাবে অহেতুক পুলিশি তৎপরতা চলছে তাতে এখানকার সুপারি বাইরে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। যেহেতু এটি একটি মরশুমি উৎপাদন তাই আগামী দশদিনের মধ্যে অবস্থা না পালটালে সমস্ত উৎপাদন নষ্ট হবে। তাই কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে।
প্রদীপ বাবু আরো বলেন যে কিছুদিন আগে মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে বার্মিজ সুপারির অবৈধ লেনদেনের পরিপ্রেক্ষিতে এখানকার সুপারি ব্যবসায়ীদের জন্য একটি নির্দেশিকা বা এস ও পি জারি করা হবে যা পালিত হলে তারা নিরাপদে ব্যাবসা করতে পারবেন।
কিন্তু আজ অবধি তার কোন খবর নেই। হয়তো মন্ত্রী তা ভুলেই গেছেন। তিনি বলেন যে এর পিছনে সুপরিকল্পিত চক্রান্ত রয়েছে। তাই ১৮ নভেম্বরের প্রস্তাবিত বনধে সুপারি ব্যবসায়ীদের দাবি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিডিএফ।
তিনি বলেন সরকার যদি এই ব্যাপারে এরপরও নির্বিকার থাকে তবে সারা বরাক (barak) জুড়ে তীব্র প্রতিবাদ হবে, যার মোকাবিলা করতে হবে সরকারকেই। বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য।