শিলচর: তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর নিয়োগে অসমের (assam) বরাক (barak) বঞ্চনা এবং মেঘালয়ে অনুপজাতিদের উপর অনৈতিক নির্যাতনের প্রতিবাদে আগামী ১৮ নভেম্বর ১২ ঘন্টা ব্যাপী বরাক বনধের ডাক দিয়েছে বিডিএফ।
এই প্রস্তাবিত বনধকে বানচাল করতে শিলচরের (shilchar) বিধায়কের মদতে মাঠে নেমেছে এক স্বার্থান্বেষী মহল। এই অভিযোগ তুলে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাল বরাক ডেমোক্রেটিক যুব ফ্রন্ট (barak democratic youth front)।
এক প্রেস বার্তায় যুব ফ্রন্টের মুখ্য আহ্বায়ক কল্পার্ণব গুপ্ত বলেন যে এই প্রক্রিয়ায় তৎপর রয়েছেন বিজেপির কিছু কর্মী সহ বিতর্কিত এক মহিলা ব্যবসায়ী যিনি assam সাহিত্য সভার দূত হিসেবে বরাকে কাজ করছেন।
ইদানীং এদের একটি সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং আগামীতে আরো অনুষ্ঠিত হবে বলে খবর পাওয়া গেছে । কল্পার্ণব বলেন যে barak র কর্মপ্রার্থীদের প্রতি বঞ্চনা তথা উত্তর পূর্বে অনুপজাতিদের উপর নির্যাতন নিয়ে জনমনে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে বিজেপি দলের মদতে এসব অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
তিনি barak র জনগণকে এনিয়ে সতর্ক থাকতে ও ন্যায্য অধিকার আদায়ে ১৮ নভেম্বরের প্রস্তাবিত বনধকে সফল করে তুলতে জনগনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
কল্পার্ণব আরো বলেন যে মেঘালয়ে অনুপজাতিদের সমস্যাকে বিজেপি দল যেভাবে শুধু হিন্দু বাঙালিদের (Bangali) সমস্যা প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে তাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন মেঘালয়ের হিন্দু বাঙালিরাই (bangali)।
কারণ এতে তাদের অন্য অনুপজাতি গোষ্ঠী থেকে আলাদা করে দেওয়া হচ্ছে এবং তাঁরা আলাদা করে চিহ্নিত হচ্ছেন।তিনি বলেন আমাদের মনে রাখতে হবে যে শুধু হিন্দু বাঙালি (bangali) নয় মেঘালয়ে উপজাতিদের জাতি বিদ্বেষের শিকার হয়েছেন অসমিয়া, নেপালি, শিখ,মাড়োয়ারি সহ সমস্ত ধর্মীয় ও ভাষিক গোষ্ঠীর অনুপজাতি লোকেরা।
তিনি আরো বলেন যে আসামের (assam) বর্তমান দোর্দন্ড প্রতাপ মুখ্যমন্ত্রী নর্থ ইস্ট ডেমোক্রেটিক এল্যায়েন্সের সভাপতি থাকা সত্ত্বেও এই ব্যাপারে নিশ্চুপ কেন তার জবাবদিহিও করতে হবে বরাকের বিজেপি নেতৃত্বকে।
তিনি বলেন সচেতন জনগণ সব ঠিকই খেয়াল রাখছেন। যুব ফ্রন্টের আরেক আহ্বায়ক বাহার আহমেদ চৌধুরী বলেন যে ইতিহাসে বারবার দেখা যায় যে যখনই অবিচারের বিরুদ্ধে স্বতস্ফুর্ত আন্দোলন গড়ে উঠে তখনই নিজ গোষ্ঠির মধ্যে কিছু মীরজাফরের আবির্ভাব হয় যারা এর বিরুদ্ধাচরণে প্রবৃত্ত হয়।
তিনি বলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) মুক্তিযুদ্ধের সময় এরকম রাজাকাররা সক্রিয় ছিলেন। ১৯৬১ এর ভাষা আন্দোলনে হাইলাকন্দি জেলায় একাংশকে বিরোধীতা করতে দেখা গেছে। বাহার বলেন এনিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
একই সাথে barak বঞ্চনা ও অন্যায়ের প্রতিবাদে আহুত আগামী ১৮ নভেম্বরের বনধকে সফল করে তুলতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি। BDYF এর পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক দেবায়ন দেব।