দ্রুত করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষিতে অসমের কামাখ্যা মন্দিরে মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ থেকে ভক্তদের মধ্যে দৈনিক ভোগ (খাদ্য উৎসর্গ) বিতরণ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তদুপরি, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মন্দির চত্বরে প্রবেশ ও প্রস্থানস্থলগুলিতে মন্দির প্রশাসন ভক্তদের হাতে স্যানিটাইজার সরবরাহ করছে।
মন্দির চত্বরের মেঝে এবং রেলিংগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করে ও মন্দিরের কর্মীদের দ্বারা জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে।
ভক্তদের সুবিধার্থে স্বাস্থ্য ডেস্কও স্থাপন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, কামাখ্যা মন্দিরটি ৫১ শক্তি পিঠগুলোর মধ্যে প্রাচীনতম।
কামাখ্যা মন্দিরে চারটি কক্ষ আছে: গর্ভগৃহ ও তিনটি মণ্ডপ (যেগুলির স্থানীয় নাম চলন্ত, পঞ্চরত্ন ও নাটমন্দির)। গর্ভগৃহটি পঞ্চরথ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত। অন্যগুলির স্থাপত্য তেজপুরের সূর্যমন্দিরের সমতুল্য। এগুলিতে খাজুরাহো বা অন্যান্য মধ্যভারতীয় মন্দিরের আদলে নির্মিত খোদাইচিত্র দেখা যায়।
আতংক নয় তবে সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যাবশ্যক। তাই জনসমাবেশ বন্ধ করার লক্ষ্যে আগ্রার তাজমহলসহ ভারতের পর্যটনক্ষেত্রগুলো মঙ্গলবার থেকে বন্ধ করা হয়েছে।
ভারত সরকার সচেতন হয়ে উঠেছে করোনা মোকাবিলায়।
পর্যটনমন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল টুইটারে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের বর্তমান অবস্থার কথা মাথায় রেখে সব ঐতিহাসিক সৌধ ও জাদুঘর আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
ঐতিহাসিক সৌধের তালিকায় রয়েছে দিল্লির লালকেল্লা , কুতুব মিনার এবং দিল্লি থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে আগ্রার ফতেহপুর সিক্রি ও তাজমহল।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গে লাগু হয়েছে মহামারী আইন। কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশন থেকে যেন কেউ পালাতে না পারেন, সেজন্যে সতকর্তামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই আইন লাগু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
এছাড়া রাজ্যের বাগবাজারে শ্রী শ্রী মায়ের বাড়িতে বন্ধ করা হয়েছে প্রসাদ বিতরণ ও সন্ধ্যা আরতি। তবে দর্শন করা যাবে।
অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের সিদ্ধি বিনায়ক মন্দির অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল।