নয়াদিল্লি: এখন যে জীবন লেখক Taslima Nasrin যাপন করছেন, তাঁকে দ্বিতীয় জীবন হিসেবেই ধরে নিয়েছেন। কারণ একটা বিশাল অঘটন ঘটে গিয়েছে তাঁর সাথে, এমনটাই দাবি করছেন তিনি।
আর সে কারণে বিশাল একটি মত পাল্টেও ফেললেন। এমন কথাই জানালেন ফেসবুকে। তিনি এখনো অবধি সাত খণ্ডের আত্মজীবনী লিখেছেন, আর লিখবেন না ঠিক করেছিলেন, কিন্তু এবার লিখবেন বলেই ঠিক করলেন।
অনেক প্রতিকূলতা সহ্য করেছেন তিনি, কিন্তু লেখা ছাড়েননি। এত বার আবার লিখবেন আত্মজীবনী, এমনটাই ঠিক করলেন।
Taslima এবার লিখবেন অষ্টম খন্ড। ইতিমধ্যেই নামও ঠিক করে ফেলেছেন তিনি। সে কথা নিজেই জানিয়েছেন তসলিমা নাসরিন। আত্নজীবনীর অষ্টম খন্ডের নাম হবে ‘দ্বিতীয় জীবন’।
এব্যাপারে Taslima Nasrin সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানিয়েছেন, ‘‘ভেবেছিলাম আত্মজীবনী যথেষ্ট লিখেছি, আর নয়। প্রকাশকের অনুরোধ বারবার উপেক্ষা করেছি। সপ্তম খণ্ডের পর আর লিখিনি। কিন্তু জীবনে যে বিপর্যয় ঘটে গেল, তাতে মনে হচ্ছে লিখতেই হবে অষ্টম খণ্ড।
আমার সাত খণ্ড আত্মজীবনীর নাম
আমার মেয়েবেলা
উতল হাওয়া
দ্বিখণ্ডিত
সেইসব অন্ধকার
আমি ভালো নেই, তুমি ভালো থেকো প্রিয় দেশ
নেই কিছু নেই
নির্বাসন
আত্মজীবনীর অষ্টম খণ্ডের নাম এখনই দিয়ে দিচ্ছি। দ্বিতীয় জীবন।’’
এর আগে ফেসবুকে লিখেছিলেন, “যে জীবনটি আমি যাপন করছি, সে জীবনটি আমার দ্বিতীয় জীবন। আমার প্রথম যে জীবন ছিল সেটির মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু এমনিতে হয়নি। মৃত্যুকে ডেকে আনা হয়েছে।
কী কারণ তাদের ছিল তবে আমাকে হত্যা করার? এর মধ্যে বড় দুটো কারণ আপাতত যা মনে হচ্ছে তা হলো ম্যালপ্র্যাকটিস এবং মার্কেটিং। অনেকে বলছে হত্যাকারীর বিরুদ্ধে মামলা করতে। আমার মতো নিরীহ, নির্বোধ কী করে বড় বড় শক্তিমান মানুষের বিরুদ্ধে আদালত অবধি যাবে!
সেই ক্ষমতা তো আমার নেই। শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক কোনও শক্তিও আমার নেই। এই দ্বিতীয় জীবনটি সম্পূর্ণই অন্যরকম। আমার প্রথম জীবনের মতো দুরন্ত, দুর্বিনীত নয়।
এই দ্বিতীয় জীবনটি অনেকটা রিহ্যাবের পচানব্বই বছর বয়সী জরাগ্রস্ত মহিলাদের মতো। এই জীবনটি আমার জন্য নয়।
কিন্তু এই জীবনটিই এখন আমার জন্য বরাদ্দ করেছে আমার হত্যাকারীরা। যতই প্রাণপণে আমি মনের শক্তি অর্জন করতে চাইছি দু’বেলা করে, ততই ব্যর্থ হচ্ছি। আমার কী হয়েছিল? আমার শরীরের ওপর দিয়ে কি কোনও ট্রাক বা ট্রেন চলে গিয়েছিল? হাড়গোড় গুঁড়ো হয়ে গিয়েছিল? না।