• About
  • Privacy Policy
  • Copyright Policy
  • Disclaimer
  • Contact
Monday, January 30, 2023
NorthEast Now (Bengali)
  • প্রচ্ছদ
  • অসম
  • ত্রিপুরা
  • পশ্চিমবঙ্গ
  • ওপার বাংলা
  • প্রবাসের খবর
  • বিনোদন
  • খেলা
  • জীবন শৈলী
  • স্বাস্থ্য
  • ভ্ৰমণ
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • অসম
  • ত্রিপুরা
  • পশ্চিমবঙ্গ
  • ওপার বাংলা
  • প্রবাসের খবর
  • বিনোদন
  • খেলা
  • জীবন শৈলী
  • স্বাস্থ্য
  • ভ্ৰমণ
No Result
View All Result
NorthEast Now (Bengali)
No Result
View All Result
Home অসম

দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবেঃ NRC নিয়ে মানবতার বার্তা প্রেরণ করলেন লেখিকা তসলিমা

তসলিমা অত্যন্ত ছোট্ট একটি মতামত দিয়েছেন, কিন্তু তার বিশালত্ব, তার গভীরতা সরকারের মেপে দেখা উচিৎ। তসলিমা নাসরিনের বক্তব্যে পরিষ্কার আমরা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ভারততীর্থ' কবিতার মিল খুঁজে পাচ্ছি

সাগরিকা দাস by সাগরিকা দাস
September 16, 2019 10:10 am
দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবেঃ NRC নিয়ে মানবতার বার্তা প্রেরণ করলেন লেখিকা তসলিমা

তসলিমা নাসরিন

2.2k
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

অসমের চারদিকে শোনা যাচ্ছে মানুষের হাহাকার। আত্মহত্যার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বাতাসে। ৩১শে আগস্ট নাগরিকপঞ্জি তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে জনগণের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে। তালিকা থেকে বাদ গেছে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম। প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকরাও তাঁদের নিজেদের নাম নাগরিকপঞ্জি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হননি।

এ অবস্থায় এনআরসি নিয়ে মুখ খুলেছেন মানবতাবাদী, বাক স্বাধীনতার পক্ষে যুগের পর যুগ ধরে লড়াই করে আসা লেখিকা তসলিমা নাসরিন।

তিনি অত্যন্ত ছোট্ট একটি মতামত দিয়েছেন, কিন্তু তার বিশালত্ব, তার গভীরতা সরকারের মেপে দেখা উচিৎ। তসলিমা নাসরিনের বক্তব্যে পরিষ্কার আমরা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ভারততীর্থ’ কবিতার সারমর্ম খুঁজে পাচ্ছি।

“পশ্চিমে আজি খুলিয়াছে দ্বার/ সেথা হতে সবে আনে উপহার/ দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে/ যাবে না ফিরে/এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে।” 

পাশ্চাত্য দেশ থেকে তো কতই মন্দ জিনিস শিখি, কিন্তু তাদের মহানুভবতাগুলো কেন শিখতে পারি না? অসমের জনসাধারণের শোচনীয় সময়ে এই প্রশ্নই রেখেছেন বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা নাসরিন।

তিনি বলেছেন, আমাদের আদি নারী- পুরুষেরা আফ্রিকার ইথিওপিয়া থেকে ভালো খাদ্য,ভালো পানীয়, ভালো আবহাওয়া,ভালো পরিবেশের সন্ধানে স্থান বদলেছে। না বদলালে হয়তো মানুষ প্রজাতিটাই বিলুপ্ত হয়ে যেত। বাংলাদেশ থেকে বাঙালি হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান সুযোগ পেলে চলে যায় ইউরোপ- আমেরিকায়। যারা একান্ত এই সুযোগটা পায় না, তারা যায় এশিয়ার ধনী দেশগুলোতে। আবার যাদের কোনটাই সুযোগ নেই, না মধ্য প্রাচ্যে যাবার, না অন্য দেশে, তারা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতেই চলে আসে সামান্য ভাল দিন যাপনের আশায়।

নির্যাতন কিংবা অভাব অনটনের মাঝে কেউ বেঁচে থাকতে চায় না। পরিবারের মুখে দু-বেলা অন্ন তুলে দেবার আশায় তাই পাড়ি দেয় অন্য দেশগুলোতে।

শুধু যে বাংলাদেশের জনগণের ক্ষেত্রেই এমন হয়েছে তা নয়, ভারতীয়রাও তাই করে। আফ্রিকার এবং এশিয়ার বিভিন্ন গরিব দেশের লোকদের মধ্যে ভারতীয়ও আছে, যাদের প্রায়ই অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলে ঘোষণা করে পাশ্চাত্যের সরকার।

ফের একসময় সবাইকেই মানবিক কারণে বৈধ বসবাসকারী হিসেবেই মেনে নেয়। কিছুকাল পর নাগরিকত্বও দিয়ে দেয় সবাইকে। আমাদের এই শিক্ষা গ্রহণ পাশ্চাত্য দেশ থেকে গ্রহণ করা উচিৎ।

“ভারতে নাগরিক পঞ্জী তৈরি হচ্ছে। আসামে নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ১২ লক্ষ বাঙালি হিন্দু, আর ৫ লক্ষ বাঙালি মুসলমান। এদের ভারত থেকে বের করে দেওয়া হবে। কিন্তু হিন্দুরা যেহেতু বাংলাদেশে ধর্মীয় কারণে নির্যাতিত হয়ে ভারতে পাড়ি দিয়েছে, তাদের না হয় নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা হবে। কিন্তু মুসলমানদের অর্ধচন্দ্র খেতেই হবে। কত লক্ষ বাঙালি মুসলমান বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকেছে অর্থনৈতিক কারণে, তার সত্যি কোনও হিসেব নেই। পাশে যদি খুব -গরিব দেশ থাকে, সেই দেশ থেকে কম- গরিব দেশে মানুষ ঢুকবেই। এ মানুষের নিয়ম। আমাদের আদি নারী- পুরুষেরা আফ্রিকার ইথিওপিয়া থেকে ভালো খাদ্য,ভালো পানীয়, ভালো আবহাওয়া,ভালো পরিবেশের সন্ধানে স্থান বদলেছে। না বদলালে হয়তো মানুষ প্রজাতিটাই বিলুপ্ত হয়ে যেত। বাংলাদেশ থেকে বাঙালি হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান সুযোগ পেলে চলে যায় ইউরোপ- আমেরিকায়। যারা ওই সুযোগটা পায় না, তারা যায় এশিয়ার ধনী দেশগুলোয় স্থায়ী বসবাসের জন্য। যাদের দুটোর কোনও সুযোগই মেলে না, তারা যায় মধ্য প্রাচ্যে বাস করতে। আর একেবারেই যারা অভাগা হতদরিদ্র, তারা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতেই চলে আসে, যদি কাজকর্ম করে ভালো কিছু উপার্জন করতে পারে, যদি খাওয়া পরাটা চলে, যদি স্বাস্থ্য শিক্ষাটা নির্বিঘ্নে পায়। দুনিয়ার মানুষ এভাবেই ভালো জীবন যাপনের জন্য এক জায়গা ছেড়ে আরেক জায়গায় যায়। সেই যে চার পা ছেড়ে দু পায়ে দাঁড়ানোর পর থেকে শুরু হয়েছে, আজও চলছে। ভারতীয়রাও তাই করে। তারাও ভারতের চেয়ে ভালো দেশগুলোতে পাড়ি দেয় উন্নততর জীবনের জন্য। আফ্রিকার এবং এশিয়ার বিভিন্ন গরিব দেশের লোকদের , তাদের মধ্যে ভারতীয়ও আছে, প্রায়ই অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলে ঘোষণা করে পাশ্চাত্যের সরকার। তারপর একসময় সবাইকেই মানবিক কারণে বৈধ বসবাসকারী হিসেবেই মেনে নেয়। কিছুকাল পর নাগরিকত্বও দিয়ে দেয় সবাইকে। আমরা পাশ্চাত্যের অজস্র মন্দ জিনিস শিখি, কিন্তু ওদের ভালো জিনিস মোটেও শিখতে চাই না, ওদের মানবাধিকার, নারীর অধিকার, ওদের বাক স্বাধীনতা, ওদের মহানুভবতা।

কবিগুরু, স্বামী বিবেকানন্দ প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের মাঝে এই মিলনের কথাই বলে গেছেন। আমরা পাশ্চাত্য দেশগুলো থেকে মন্দ জিনিসগুলো আহরণ করি, কিন্তু তাঁদের উদারতা, সাহসিকতা তো করি না। বিবেকানন্দ জাতির উদ্দেশে ‘বর্তমান ভারত’ গ্রন্থে বলেছেন, অনুকরণ নয়, স্বীকরণ চাই।

অনুকরণে কেবল খারাপটাই আহরণ করা যায়, তা কেবল বাইরের আবরণ মাত্র। যা অল্পদিনের মধ্যেই ধসে যায়।

 

No Result
View All Result

Recent Posts

  • বিবিসি-র বিতর্কিত তথ্যচিত্ৰ সংক্ৰান্ত জনস্বার্থ মামলা শুনতে রাজি সুপ্ৰিম কোর্ট
  • পাকিস্তানের পেশোয়ারে মসজিদের ভেতরে বোমা বিস্ফোরণ, হত ১৭, আহত অনেক
  • অনূর্ধ্ব -১৯ মহিলা বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস গড়ল ভারতীয় তরুণি দল
  • Kolkata Fatafat Result আজ – January 30, 2023 লাইভ আপডেট
  • ৭৬-তম প্রয়াণ দিবসে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল
 
Our Properties
 
  • ⚪ NORTHEAST NOW
  • ⚪ NORTHEAST NOW ASSAMESE
  • ⚪ NORTHEAST JOBS
  • ⚪ NORTHEAST TENDERS
  • ⚪ INNFINITY
  • About
  • Privacy Policy
  • Copyright Policy
  • Disclaimer
  • Contact

© 2022 - Maintained by EZEN Software & Technology Pvt. Ltd

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • অসম
  • ত্রিপুরা
  • পশ্চিমবঙ্গ
  • ওপার বাংলা
  • প্রবাসের খবর
  • বিনোদন
  • খেলা
  • জীবন শৈলী
  • স্বাস্থ্য
  • ভ্ৰমণ

© 2022 - Maintained by EZEN Software & Technology Pvt. Ltd