শেষ পর্যন্ত শিয়ালদহ জিআরপিএফ থানায় এজাহার দায়ের করলেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে হেনস্তার শিকার শিলচরের সাংস্কৃতিক কর্মী শ্বেতা রায়।
বুধবার বেলা ১টায় জিআরপিএফ থানায় পৌঁছলেও বিকেল চারটে নাগাদ তাঁর এজাহার নেওয়া হয় এবং শ্বেতাকে জানানো হয় যে এটি রঙ্গিয়া জিআরপি-কে পাঠানো হবে। তারাই উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সোমবার, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে করে শ্বেতা তাঁর মায়ের সঙ্গে শিলচর থেকে শিয়ালদহ যাওয়ার পথে মীর হোসেন আলি নামের জিআরপিএফ কনস্টেবলের দ্বারা হেনস্তার শিকার হন শ্বেতা।
দুর্বব্যহার করা ওই রেলকর্মী মঙ্গলবার রঙ্গিয়া স্টেশনে নেমে যান। সেখানেই তার বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করতে চেয়েছিলেন শ্বেতা। কিন্তু সেখানকার স্টেশনমাস্টার তাঁকে নিউ বঙ্গাইগাঁও গিয়ে এজাহার দায়ের করতে বলেন।
এদিকে, নিউ বঙ্গাইগাঁও স্টেশনের কমপ্লেন ডেক্সে গিয়ে শ্বেতা শুনলেন, তারা শুধু হারানো-প্রাপ্তির রিপোর্ট রাখেন।
অন্যদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ার জরিয়তে এই ঘটনা জেনে ফারাক্কা স্টেশনে রেলকর্তারা গিয়ে শ্বেতার সঙ্গে কথা বলেন।
না এতেও শেষ নয়, মঙ্গলবার শিয়ালদহ পৌঁছে শ্বেতা এজাহার দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সেখানে তাঁকে বলা হয় পরের দিন আসার জন্য।
সেই হিসেবে বুধবার বেলা ১টা নাগাদ শিয়ালদহ জিআরপিএফ থানায় হাজির হন শ্বেতা। এরপর বিকেল ৪টে নাগাদ তাঁর এজাহার রেখে জানিয়ে দেওয়া হয়, এটি রঙ্গিয়া জিআরপিএফে পাঠানো হবে। তারাই উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।