দুর্গা পুজোর সময় শ্রীগৌরী প্রতিমা বিসর্জন ঘাটের কদর সব থেকে বেশি। কারণ, দশমীর দিন আশপাশের গ্রামের অসংখ্য প্রতিমা এই ঘাটে নিরঞ্জন করা হয়।
পুজো আসতে কমবেশি কয়েকদিন বাকি। অথচ শ্রীগৌরী প্রতিমা বিসর্জন ঘাটের হাল এখনও ফেরেনি। বেশ কিছুটা অংশ বরাক নদীতে ঝুলছে। প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় এই ঘাটের আশপাশে হাজার হাজার ভক্ত ভিড় করে থাকেন। কিন্তু, ঘাটের শ্রী না ফেরায় অঘটন ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
যদিও কয়েক বছর আগে গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে পুজোর আগেই অস্থায়ীভাবে ওই ঘাট মেরামতি করা হয়েছিল । কিন্তু, বর্তমানে শ্রীগৌরী প্রতিমা বিসর্জন ঘাটের হাল বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে। ঘাটে নামার সিঁড়ি নীচে থেকে মাটি সরে গিয়েছে। সিঁড়িগুলি প্রায় ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু, ঘাটগুলি মেরামতি না হওয়ার কারণে ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা প্রতিমা বিসর্জন করেন। ঘাটটির অবস্থাও তেমন ভালো নয়। কেউ অসাবধান হয়ে এই ঘাটে নামলে যে কোনও মুহূর্তে বিপদ হতে পারে।
এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, সমস্ত অংশ ভেঙে গিয়েছে। এককথায় ঘাটটি মরণফাঁদ হয়ে রয়েছে।
স্থানীয়দের বক্তব্য, ঘাটগুলি মেরামত করার বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের কোনও হেলদোল নেই বিশেষ করে পুজোর সময় এই ঘাটে হাজার হাজার মানুষ নামেন।
স্থানীয় অটলবিহারী গণসচেতনা পরিষদের সভাপতি সীতাংশু শেখর ধর ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বদরপুর প্রখন্ডের সভাপতি সিদ্ধার্থ শঙ্কর দত্ত সহ অন্যান্যরা দ্রুত প্রতিমা নিরঞ্জন ঘাটটি নির্মাণের জন্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সানোয়ালের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ।