বিদেশি ন্যায়াধীকরণ ‘বিদেশি’ শনাক্ত করা ব্যক্তির নাম ‘এনআরসি’-তে অন্তর্ভুক্ত হলে সরকার পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে কি ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ? সে বিষয়ে পুংখানুপুংখভাবে জানতে চেয়েছেন উচ্চতম ন্যায়ালয়ের মুখ্য ন্যায়াধীশ রঞ্জন গগৈ। এই বিষয়ে শুনানি গ্রহণ করে গগৈ নেতৃত্বাধীন বিচারক মণ্ডলী এই মামলাটি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
উল্লেখ্য, ‘জমিয়ত-উলামা-ই-হিন্দ’ সহ ১৭টা সংগঠন নাম বিদেশি সনাক্ত হওয়া লোকদের নাম নাগরিকপঞ্জিতে অন্তর্ভুক্তিকরণের বিষয় বিবেচনার জন্য উচ্চতম ন্যায়ালয়ে আবেদন করে। এই আবেদনের ভিত্তিতে উচ্চতম ন্যায়ালয় মঙ্গলবার শুনানি গ্রহণ করে। ‘বিদেশি ন্যায়াধীকরণ’ এখন অবধি ঘোষণা করা বিদেশি ব্যক্তিরা পরবর্তীতে পুনরায় আবেদন করতে পারবেন কিনা সে গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে জানতে চেয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে।
জমিয়তের কৌশুলি কপিল সিব্বাল জানান যে, আইন অনুযায়ি একবার ‘বিদেশ ন্যায়াধীকরণ’, ‘বিদেশি’ হিসেবে ঘোষণা করা ব্যক্তি রায়দানের বিরোধিতা করে উচ্চ আদালতে পুনর আবেদন করতে পারবেন না। তিনি ‘উত্তরবিচারদায়ি ব্যবস্থাপনা’ গঠনের সুপারিশ জানান।
বৃহস্পতিবার ‘এনআরসি’তে নাম অন্তর্ভুক্তির বিষয় নিয়ে আবেদনকারী ও সরকার প্রতিনিধি দু-পক্ষের তীব্র বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। সেখানে ন্যায়ালয়ের নির্দেশে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব অলোক কুমার। দু-পক্ষের পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতাবস্থায় এলে ন্যায়ালয় মুখ্য ন্যায়াধীশ রঞ্জন গগৈ, ন্যায়াধীশ সজীব খান্না এবং ন্যায়াধীশ দীপক গুপ্তা তিনজনের গঠিত খণ্ড বিচারপিঠ রায়দান কিছুদিনের জন্যে স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেন। এবং এই সমস্যার সমাধান মর্মে আদালত সরকার পক্ষকে নোটিশ পাঠিয়ে মতামত জানতে চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, ‘বিদেশি ন্যায়াধীকরণ’ বহু ব্যক্তির নাম বিদেশি হিসেবে ঘোষণা করায় মানুষ বিপাকে পড়েছে। এনআরসি-তে তাঁদের নাম ওঠার সম্ভাবনা কতটুকু রয়েছে, এই গুরুত্বপূর্ণ দিকটি সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে বিবেচনা করে দেখছে উচ্চতম ন্যায়ালয়। তাছাড়া এর বিপরীত দিকটি নিয়েও উচ্চতম ন্যায়ালয় রীতিমতো চিন্তিত। অর্থাৎ, বিদেশি আখ্যা দেওয়া একজনেরও নাম নাগরিপঞ্জি-তে অন্তর্ভুক্ত করা হলে পরে সৃষ্টি হওয়া কোন সমস্যার সমাধান সরকার পক্ষের আছে কিনা? সেই বিষয়েও রাজ্যা সরকারের কাছে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে উচ্চতম ন্যায়ালয়।