কলকাতা: বাঙালির দুটো ভালোবাসা দিবস, এক ভ্যালান্টাইন্স ডে, ১৪ ফেব্রুয়ারি আরেক সরস্বতী পুজো।
সরস্বতী পুজোর জন্য গোটা একটা বছর অপেক্ষা করে থাকে পড়ুয়ারাসহ বড়রাও। এই দিনটির আনন্দ আলাদা। অন্য পুজোর দিনগুলোর চাইতে আলাদা সরস্বতী পুজো।
বাসন্তী রঙের ঢাকাই শাড়ি, সঙ্গে মায়ের লাল ব্লাউজ।সেই দিনগুলো মনে করে আজও নস্টালজিক হয়ে পড়েন লোকজন। চোখে কালো কাজল আর লাল টিপ, লাল লিপস্টিক (Lipstick) পরে সুন্দর করে সেজেগুজে পৌঁছে যাওয়া স্কুলে।
তারপর পুজোর আয়োজন করা থেকে শুরু করে খিচুড়ি বিতরণ।
সেইসব এখন স্মৃতি। এক সপ্তাহ আগে থেকে মায়ের আলমারি ঘেঁটে শাড়ি বের করা, মায়ের ব্লাউজ কষ্ট করে সেলাই করে টাইট করে নেয়া চলতো।
শুধু কী তাই? শাড়ির সঙ্গে আবার মানানসই গয়না খুঁজতে হবে না?জোগাড় করতেই হবে যেভাবেই হোক।
শুধু মেয়েরা নয়, সরস্বতী পুজোতে কী পঞ্জাবি পরবেন, তা নিয়ে ছেলেদেরও মাথা ব্যথা কম ছিল না।
আর তখনের প্রেমটাও ছিল ভিন্ন। পছন্দের মানুষকে স্কুল ইউনিফর্মের বাইরে একবার দেখার জন্য চলত অধীর অপেক্ষা। সে যুগে মুঠোফোন না থাকলেও, যোগাযোগ হতোই। সরস্বতী পুজোর দিন বাঙালির প্রেম দিবস।
আজ দিন পাল্টে গেছে, প্রেমের ধরন পাল্টেছে, সবকিছুই পাল্টেছে।