অসম সরকারের এক প্রতাপী মন্ত্রী নামে খ্যাত ড০ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বুধবার বরপেটার মৌন সমদলে অংশগ্রহণ করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গুপ্তহত্যা নিয়ে কটাক্ষ করেন। বলেন প্রফুল্ল মহন্ত সরাসরি গুপ্তহত্যার সঙ্গে জড়িত।
উত্তর-প্রত্যুত্তরের খেলায় এরপরই বৃহস্পতিবার গুয়াহাটির গণেশগুড়িস্থিত হোটেল অম্বরিশে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত করে মন্ত্রী হিমন্তর অভিযোগের জবাব দেন নাম না করে।
এদিন কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকাল থেকে শুরু করে অহংকারি মন্ত্রী হওয়া পর্যন্ত হিমন্ত কী কী কেলেংকারিতে যুক্ত হয়েছেন সে কথা সুস্পষ্টভাবে মহন্ত তুলে ধরেন।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরবলেন, “হিমন্ত একজন বিশৃংখল নেতা। তাঁর কথার উত্তর দেওয়ার কোন প্রয়োজন আমার ছিল না, কিন্তু গতকাল তাঁর বলা কিছু বক্তব্য সংক্রান্তে উত্তর আমাকে দিতেই হচ্ছে।”
“হিমন্ত আশুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, কংগ্রেসের সঙ্গে করেছন, বিজেপির সঙ্গেও করবেন। তিনি সারা অসম ছাত্র সংস্থায় একসময় ছিলেন। তখন তাঁর কিছু অসভ্য আচরণের জন্যে আশু তাঁকে বহিষ্কার করে। বহিষ্কার হওয়ার পর আলফার একটি গ্রুপের সঙ্গে মিশে একজন মূল অভিযুক্ত হিসেবে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মানবেন্দ্র শর্মাকে উজানবাজারে হত্যা করেন। তাঁকে হত্যা করা অস্ত্রটি পাওয়া গিয়েছিল কটনের হোস্টেলের এক রাঁধুনির কামরায়। হিমন্তের অন্যকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।”
উল্লেখ্য যে, নিহত মানবেন্দ্র শর্মার স্ত্রী এবং প্রাক্তন সাংসদ কিরিপ চালিহা এই মামলার সঠিক তদন্তের জন্যে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল মহন্তের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
তিনি বলেন, “আমি সরকারি আসনে থাকার সময় মানবেন্দ্রর স্ত্রী এবং কিরিপ আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বলেছিলেন যে অসম পুলিশের ওপর কোন ভরসা নেই, সুতরাং এই হত্যামামলা যেন সিবিআউয়ের হাতে তুলে দেয়া হয়। মামলা সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছিল যদিও কংগ্রেস এবং বিজেপি দু-দলই কিছু করেনি।”
এমনকি, তাৎপয্যপূৰ্ণভাবে মানৱেন্দ্ৰ শর্মা হত্যার অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতির জন্যে সে সময়ের মুখ্যমন্ত্রী হিতেশ্বর শইকিয়ার কাছেও গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন মহন্ত।
প্রফুল্ল মহন্ত হিমন্তের বিরুদ্ধে আরো বলেন যে, “কংগ্রেসের একজন প্রভাবশালি মন্ত্রী হিসেবে লুই বার্জার এবং সারদায় বিশৃংখলা করেছিলেন, সে জন্যে তৎকালীন সাংসদ আলুওয়ালিয়া বলেছিলেন যে, তাঁর সব প্রমাণ আমাদের কার্পেটের নীচে আছে এবং সময় হলেই বের করবো। ঠিক সে সময় তিনি কংগ্রেস ছেড়ে ভারতীয় জনতা দলে যোগদান করেছিলেন।”