শিলচর: অসমের Assam শিলচর shilchar প্রেসক্লাবে সম্প্রতি ‘সুশীল সমাজের ‘ নামে কয়েকজন ব্যক্তি প্রদীপ দত্তরায়কে Pradip dutta roy নিউক্লিয়াস পাবলিকেশনের ‘বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষার অগ্রনী সেনানী ‘ হিসেবে ‘গর্বের বাঙালি gorber bangali ‘সম্মাননার জন্য মনোনীত করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এনিয়ে এবার প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করলেন বিডিএফ bdf এর আহ্বায়করা। এক প্রেস বার্তায় বিডিএফ এর নবনিযুক্ত আহ্বায়ক খাইদেম কান্ত সিং বলেন যে এই বিতর্ক অহেতুক এবং সেজন্যই এর পেছনে বাঙালি বিরোধী লবির চক্রান্ত রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন যে প্রদীপ বাবু Pradip dutta roy অবশ্য ইতিমধ্যেই স্পষ্টীকরণ দিয়ে জানিয়েছেন যে ১৯৬১ এর আন্দোলনে তাঁর কোন প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিলনা এবং তিনি সেই অর্থে ভাষা সেনানী নন ।
খাইদেম কান্ত সিং বলেন যে তিনি নিশ্চিত যে আয়োজকরাও এই তথ্যগত ভুল শুধরে নেবেন কিন্তু এটাও মনে রাখা দরকার যে বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষার আন্দোলন শুধু ১৯৬১ তেই শেষ হয়ে যায়নি এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।
১৯৭১ এবং ১৯৮৬ তেও এই নিয়ে আন্দোলন হয়েছে। তিনি বলেন যে ১৯৮৬ এর আন্দোলনে প্রদীপ দত্তরায়ের Pradip dutta roy নেতৃত্বে আকসার পক্ষ থেকে ২৪ ঘন্টার বন্ধ ডাকা হয়েছিল এবং করিমগঞ্জে karimganj অবস্থান রত তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল মোহান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কর্মসূচি সংগঠিত হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন যে ১৯৯১ সালে ‘ওয়ার্লড ডেভেলপমেন্ট পার্লামেন্ট ‘ দ্বারা প্রদীপ বাবুকে Pradip dutta roy যে সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয় তা তিনি ভাষা শহিদদের নামে সমর্পন করেন এবং পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তা কখনো ব্যবহার করেন নি।
একইভাবে ১৯৯৪ সালে তাঁকে যে ‘রাজীব গান্ধী শিরোনাম ‘ পুরস্কারে ভূষিত করা হয় এই সম্মাননাকেই তিনি ‘ ভাষা শহিদদের নামে উৎসর্গ করেছেন।
এছাড়া বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি লাগাতার বাংলা ভাষার bangla Bhasa অবমাননার বিরুদ্ধে সরব রয়েছেন এবং সেজন্য তাঁকে জেলও খাটতে হয়েছে। তাই তাঁকে ‘ ভাষা সেনানী ‘ বলা যেতেই পারে এবং এই বিতর্ক সম্পূর্ণ অর্থহীন।
তিনি বলেন যে আরেকটি ব্যাপারও স্মর্তব্য যে ১৯৬১ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে পরবর্তীতে এই ব্যাপারে যত আন্দোলন হয়েছে তাতে শুধু বাংলাভাষীরা নন বরাকের মনিপুরী,ডিমাসা বা চা শ্রমিক সবাই এইসব আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন এবং সমর্থন করেছেন।
অসমের Assam বরাক উপত্যকার barak ১২৫ টি চা বাগানে যে কয়েকলক্ষ শ্রমিক রয়েছেন তারাও ভাষা আন্দোলনকে সমর্থন করেন কারণ এইসব আন্দোলন শুধু বাংলা ভাষা নয়, সব জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার আন্দোলন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
এবং এসব অনর্থক বিতর্ক তৈরি হওয়াকে তাই কেউই মেনে নিতে পারছেন না। বিডিএফ এর আরেক আহ্বায়ক প্রমোদ শ্রীবাস্তব বলেন যে ‘সুশীল সমাজ’ এর নামে অনুষ্ঠিত ঐদিনের সভার আহ্বায়ক কে ছিলেন তার কোন তথ্য নেই এবং তাই পুরো ব্যাপারটাই রহস্যজনক। তিনি আরো বলেন যে যারা বাংলা ভাষা নিয়ে এতটা ভাবিত তারা সেদিনের সভায় বাংলা ভাষার মর্যাদা যেভাবে আজো কেড়ে নেবার প্রয়াস চলছে তা নিয়ে কিছু বললেন না কেন তাও আশ্চর্যজনক।
প্রমোদ শ্রীবাস্তব বলেন যে ডাঃ রাজীব কর শারীরিক অসুস্থতা স্বত্ত্বেও ভাষা শহিদ স্টেশন নামকরণের দাবিকে আগামী কেবিনেট বৈঠকের আগে তুলে ধরার যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন, বিভিন্ন সংগঠনকে এই ইস্যুতে একজোট করার চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন যে এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক যে সুশীল সমাজের এইসব প্রতিনিধিরা এই ইস্যুতে নীরব থেকে এই সময়ে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করছেন।এটা কাম্য নয়। বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে।