নগাঁও কাগজ কলের কর্মচারীদের খুব শীঘ্রই সুখবর দেয়া হবে বলে শুক্রবার মন্তব্য করেন মন্ত্রী পীযুষ হাজরিকা।
কাগজ কলে কাজ করা কর্মচারীদের প্রাপয় টাকা না দিয়ে কখনোই তাঁদের বসতছাড়া করা হবে না, আশ্বাস দিলেন মন্ত্রী।
চ্যালেঞ্জ করে তিনি সংবাদ মাধ্যমে বললেন, কর্মীদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে জাগিরোডের বিধায়ক হিসেবে আগে নিজেই ঝাপ দেবেন!
নতুন বছরের পূর্বে ঘোর অন্ধকার নেমে এল জাগিরোড এবং কাছাড় কাগজকল কর্মচারীদের জীবনে।
আগামি ৩১ জানুয়ারির ভিতর দুটো কাগজকল কর্মীদের আবাসগৃহ খালি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিগত ২৩ ডিসেম্বর জাগিরোড এবং কাছাড় কর্মচারীদের এ বিষয়ে একটি নোটিশ দেয়া হয়েছিল। সেখানে উল্লেখ করা রয়েছে যে, কাগজকল দুটো সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে সেখানকার সমস্ত সামগ্রী বিক্রি করার জন্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আধাকারিক-কর্মচারীদের ঘর শীঘ্রই খালি করতে হবে।
এ মর্মে দৃঢ়তার সুরে হাজরিকা বলেন, “এমন নির্দেশ কখনো কখনো আসে, আমরা মানি না।”
উল্লেখযোগ্য যে, শুধুমাত্র কোয়ার্টার ছাড়ার নির্দেশ নয়, বিগত ৩ বছর ধরে কাগজজকলের কর্মীরা মাইনে পাচ্ছেন না। প্রচণ্ড অর্থকষ্টে দিন কাটছে প্রত্যেকের।
এক কর্মী সরকারের ওপর বিতশ্রদ্ধ হয়ে জানাচ্ছেন, “সরকার শুধু টোপ দিয়ে ভোটটুকু আদায় করে নিতে জানে। গদি পেলে লাথি মারে জনগণকে।”
২০১৬ সালে অসমে প্রচুর জনসমর্থন নিয়ে সরকার গড়ে নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি। কর্মীরা রাজনীতিবিদের আশ্বাসে ভুলে গিয়েছিলেন যে তাঁরা রাজনীতিবিদ, কোন আদর্শবান ব্যক্তি নন। ভেবেছিলেন, কারখানার চিমনি থেকে ধোঁয়া বেরোবে। কিন্তু বাস্তবে এর উল্টোটাই হয়েছে।
কাগজকলের কর্মচারীরা বেতনহীন ভাবে অভুক্ত অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় দিন যাপন করছেন।
এবার মন্ত্রী পীযুষ হাজরিকার এই আশ্বাসও ফের মরীচিকা নয়তো?