এপার-ওপার বাংলার সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে এক ব্যতিক্রমী প্রয়াস শিল্পচর্চা ও অঙ্কন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিল্পাঙ্গনের।
বিভিন্ন সময়ে ভারত-বাংলাদেশ বিশেষ করে বরাক ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও অটুট করতে শিলচরে অনেক সময়ই নৃত্য-সঙ্গীত, নাটক, চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়ে থাকে।
তবে এবার শিলচরের শিল্পীদের জন্য একেবারেই ব্যতিক্রমী কর্মশালার আয়োজন করেছে শিল্পাঙ্গন।
শিলচরের শিল্পীরা যাতে ‘পেপার মাস্ক’-এও উন্নত করতে পারে তারজন্য দু’দিনব্যাপী এই মুখোশ তৈরির কর্মশালার আয়োজন করেছে শিল্পাঙ্গন।
কর্মশালার স্থান শিলচর মালুগ্রামের ডেফোডিলস স্কুল। এই কর্মশালায় সহযোগিতা করেছে গ্যালারি হিউ।
কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন বাংলাদেশের দুই বিশেষজ্ঞ শিল্পী সত্যজিৎ চক্রবর্তী ও সুমিতা সুমি।
কর্মাশালার উদ্বোধনে বাংলাদেশ থেকে আসা শিল্পী সত্যজিৎ বলেন, এই উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশগুলোর মানুষের জীবন যাপনে একটা অন্তর্লীন সম্পর্ক রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ভালো-মন্দ বিষয়গুলোকে হিরো ও এন্টি হিরোর মুখোশের মাধ্যমে রূপদান করা হয়। পয়লা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাঙালিদের সংস্কৃতির মধ্যে এগুলো তুলে ধরার রেওয়াজ রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি পেঁচার কথা তুলে ধরেন। পেঁচা ডাকলে মৃত্যুর খবর আসে, আবার পেঁচা ইদুর মেরে ফসল রক্ষা করে। এভাবে পেঁচা মঙ্গল ও অমঙ্গল দুটোই সুচিত করে। আবার বিভিন্ন লোক কাহিনির গল্পও মুখোশ হিসেবে উঠে আসে’।