নয়াদিল্লি: দিল্লির (Delhi) এক একটা ঘটনা হাড় হিম করা। এরা কি আদৌ মানুষ? মানুষের রক্ত থাকলে তো এত নৃশংস জঘন্য কাজ করতে পারে না!
নিকি আর সাহিল গেহলটের ঘটনায় এখন নতুন তথ্য সামনে এসেছে। তারা লিভ ইন পার্টনার ছিল না। বিয়ে করেছিল তারা একে অপরকে।
নিকি খুনের বছর তিনেক আগে গোপনে নিকিকে বিয়ে করেছিল সাহিল গেহলট। পুলিশ জানতে পেরেছে, ২০২০ সালে গোপনে মন্দিরে চারহাত এক হয়েছিল নিকি ও সাহিলের।
কিন্তু সাহিল পাক্কা খেলোয়াড় ছিল। স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও বিয়ের পিঁড়িতে বসায় সেই তথ্য গোপন রাখে সাহিল। প্রথম স্ত্রীকে খুন করে সব অস্বীকার করে দ্বিতীয় বিয়েতে বসে সে।
প্রসঙ্গত, ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ পশ্চিম দিল্লির এক ধাবা থেকে নিকি যাদবের দেহ উদ্ধার হয়। নিকিকে নৃশংসভাবে হত্যা করে সাহিল।
খুনের অভিযোগে সাহিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ (Delhi Police)। সাহিলকে জেরা করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে।সেসব তথ্যই হাড়হিম করা।
নিকি সাহিলের বিয়ের সার্টিফিকেটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেটার নয়ডার আর্য সমাজ মন্দিরে গোপনে বিয়ে করে তারা। আর এই বিয়ের কথা সাহিলের পরিবারও জানত।
কিন্তু জানলেও নিকিকে বধূ হিসেবে পছন্দ ছিল না তাঁদের। তাই গত বছর ডিসেম্বরে আবার সাহিলের বিয়ে ঠিক করে পরিবার। পাত্রীর পরিবারের কাছে সব কথা গোপন রেখেই ছেলের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। যা আরেক অন্যায়।
আর নিকিকে খুন করতে ছেলেকে সাহায্য করেছে তার বাবা, বাবা বীরেন্দ্র সিং। তাকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।