জাতীয় কংগ্রেস কোনমতেই রাজ্যসভায় ক্যাব আনতে দেবে না। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে বুধবার ধর্মতলার রানীরাসমণি রোডে দলিত সংখ্যালঘু উন্নয়ন পরিষদের সভায় প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি ও বর্তমান সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য সোচ্চার হলেন।
এদিন জনসভায় তিনি বলেন, অসমের মানুষ এনআরসি চেয়েছিল। একটি রাজ্যের প্রেক্ষাপট আরেক রাজ্যে খাটেনা। বাংলার মানুষ এনআরসি চায়না। বিজেপি যে ক্যাব আনছে তা ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে চলেনা। এটি আইনগত দিক দিয়ে অন্যায়। লোকসভায় পাশ হলেও আগেরবারের মতো আমরা রাজ্যসভায় এই বিল আটকাবো।
বুধবার কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি গেরুয়া দলকে বিঁধে আরো বলেন, “বাংলাদেশ লাগোয়া এলাকায় কাঁটাতার নেই। ভারতের গরু বাংলাদেশের ঘাস খাচ্ছে আবার বাংলাদেশের গরু ভারতের ঘাস খাচ্ছে। পাকিস্তান সীমান্তে যেভাবে কাঁটাতার দেওয়া হয়েছে সেটা এখানে হয়নি। নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের, প্রশাসনের। মানুষকে কেন হয়রানি করা হবে। আসলে দেশের মূল সমস্যা থেকে নজর ঘোরাতেই এইসব হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে সংসদ খুলবে। তখন প্রথমেই আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইবো, আসামে এনআরসি ছুট ১৯ লক্ষ মানুষের ভবিষ্যৎ কী?
চূড়ান্ত এনআরসির তালিকা প্ৰকাশিত হয়েছিল ২০১৯-এর ৩১ আগস্ট। মোট ৩,৩০,২৭,৬৬১ জন ব্যক্তি(৬৮,৩৭,৬৬০টি আবেদনের মাধ্যমে)চূড়ান্ত এনআরসিতে নাম অন্তর্ভুক্তির আবেদন করেছিলেন। মোট আবেদনকারীর মধ্যে ৩,১১,২১,০০৪ জন ব্যক্তির নাম এনআরসিতে অন্তর্ভুক্তির যোগ্য হিসেবে পাওয়া গেছে। ১৯,০৬,৬৫৭ জন আবেদনকারী এনআরসিতে অন্তর্ভুক্তির অযোগ্য ঘোষিত হয়েছেন।