আগামি ১৫ ডিসেম্বর ইন্ডিয়া-জাপান বাৰ্ষিক বৈঠকের জন্যে গুয়াহাটি উপস্থিত হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এই একইদিন জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেও গুয়াহাটি আসছেন।
১৪সংখ্যক ইণ্ডিয়া-জাপান সামিট অনুষ্ঠিত হবে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে।
বৈঠকের সরকারি সূচি প্রকাশ পায়নি যদিও সংবাদমতে, দু-দেশের প্রধানমন্ত্রী গুয়াহাটির একটি হেরিটেজ বাংলো পরিদর্শন করার পাশাপাশি ব্রহ্মপুত্রে নৌকা ভ্রমণ করবেন।
মোট ৩ দিনের ভারত ভ্রমণসূচিতে আসা জাপানের প্রধানমন্ত্রীর গুয়াহাটির পর ইম্ফলের ইণ্ডিয়া পিচ মেমোরিয়াল পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
সংগ্রহালয়টি নিপ্পন ফাউণ্ডেশনের আর্থিকসাহায্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রাণ হারানো জাপানি এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজের সৈনিকের স্মৃতিতে নির্মাণ করা হয়েছিল।
ইম্ফল এবং কোহিমা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সাক্ষী ছিল-১৯৪৪ সালের মার্চ মাস থেকে জুন পর্যন্ত ৭০ হাজার জাপানি সৈন্য প্রাণ হারিয়েছিলেন।
গুয়াহাটির বৈঠকে দু দেশের নেতার মধ্যে বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদির আগমণ উপলক্ষ্যে গুয়াহাটি শহরকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে জোরদারভাবে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গসহ অসমে যদিও যেকোন ধরনের গুটখা অথবা পান মশলা জাতীয় সবকিছু বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে তথাপি গুটখা যেমন চলছিল তেমনই চলছে। তার অন্যথা হবার নয়।
আর এই গুটখার পিকে শহরবাসী সড়কের ডিভাইডার লাল রঙে পূর্ণ করে রাখছে অনবরত।
এবার নরেন্দ্র মোদি আগমণের পূর্বে প্রশাসন যথাসম্ভব কোমর বেঁধে লেগেছে এগুলোকে পরিষ্কার করার জন্যে।
ডিভাইডার সুন্দর ঝকঝকে কালো-সাদা রং করে তার ওপর প্লাস্টিক মুড়ে দেয়া হচ্ছে। তবে গুয়াহাটি প্রশাসনের এহেন কষ্টও টনক নড়াতে পারেনি শহরবাসীর। তাঁরা যথারীতি পূর্বের মতোই প্লাস্টিকের ওপরও ফেলছেন পানের পিক, গুটখার পিক।