করোনা মোকাবিলায় সতর্ক পন্থা গ্রহণ করছে অসম সরকার। লড়াই চালাচ্ছে জোরদারভাবে।
লক ডাউন শেষ হওয়ার পর বাইরে অবস্থান করা অসমের লোকেদের রাজ্যে ঘুরে আসার জন্যে রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট এক ওয়েবসাইটে নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
আজ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
আর ১/২ দিনের মধ্যে রাজ্যে খুলে দেয়া হবে একটি ওয়েবসাইট। যে ওয়েবসাইটে যারা রাজ্যে ফিরতে ইচ্ছুক, তাঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
সকলে একসঙ্গে রাজ্যে প্রবেশ করতে পারবেন না। পর্যায়ক্রমে তাঁরা অসমে ফিরতে পারবেন। অসমে যেহেতু অধিকাংশ কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা নেই, সেজন্যে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে অসমের স্বাস্থ্য বিভাগ।
“তবে লক ডাউন কখন খুলবে, কী ব্যবস্থা নেয়া হবে পরবর্তীতে, তা ভিন্ন প্রসঙ্গ। কিন্তু অসম সরকারের একটি বিশেষ ব্যবস্থা থাকতে হবে।” জানাচ্ছেন ড০ শর্মা।
তিনি আরো বলেন, “অসমের বাসিন্দাদের জন্যে তেমন কিছু কঠিন ব্যবস্থা এটি নয়। তবে তাঁরা কবে ফিরবেন রাজ্যে সে বিষয়ে একটি পারমিশানের প্রয়োজন রয়েছে, ইনার লাইন পারমিটের মতোই। কারণ কোন ব্যক্তি যদি অনুমতি ছাড়া রাজ্যে প্রবেশ করে, তাহলে বোঝা যাবে না, তাঁরা কোথায় গেছেন। ফলে অসম সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যবাসীকে কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্যে যে প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে এই কদিনে, তা বিফল হয়ে যাবে। ফলে কঠোর হতেই হবে সরকারকে।”
আর ৩/৪ দিন পর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ওয়েবসাইটটি খুলে দেওয়া হবে। সে ওয়েবসাইটে অসমে ঘুরে আসা মানুষের রেজিস্ট্রেশন করা হবে।
এছাড়া পর্যবেক্ষণ করা হবে, অসমের বাইরের লোকেদের জিয়োগ্রাফিকেল কণ্ডিশন। অর্থাৎ তাঁরা উজান অসম অথবা নিম্ন অসম, কোথায় বেশি পরিমাণে যাচ্ছেন। তাহলে সে অনুপাতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বৃদ্ধি করা হবে রাজ্যে। একথাও বলেন মন্ত্রী।
অন্যদিকে, নিজামুদ্দিন থেকে ঘুরে আসা অথবা আত্মগোপন করে থাকা জামাতিয়াদের বিরুদ্ধে অসম সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে।
যারা এখন পর্যন্ত লুকিয়ে রয়েছেন, এখনো অবধি রাজ্য সরকারকে অবগত করেননি নিজেদের আগমণের বিষয়ে, তাহলে তাঁদের ক্ষেত্রে আজ সোমবারই হচ্ছে শেষ দিন!
অন্যথা ‘ডিজাস্টার মেনেজমেন্ট আইন’ অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হবে।
তাঁদের চিকিৎসা প্রদান করা হবে, পাশাপাশি শাস্তিও লাভ করবেন। এই কথা আজ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।