করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে একজোট হয়ে লড়াই করে যাচ্ছে ভারত। সম্পূর্ণ দেশ ২১ দিনের জন্যে লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের স্বার্থে, পরিবারের স্বার্থে বারংবার আহ্বান জানিয়েছেন এই লক ডাউন যেন মেনে চলেন ভারতবাসী।
এদিকে লক ডাউনের দ্বারা সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দিন মজুর, পথ ব্যবসায়ী, ফেরিওয়ালা প্রভৃতি দৈনিক আয়ের ওপর জীবন নির্বাহ করা সাধারণ শ্রেণীর মানুষ।
ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি এবং কেরালা সরকার জনহিতৈষী প্রকল্প গ্রহণ করা ছাড়াও অন্যান্য রাজ্যগুলোও এমন ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করেছে।
উল্লেখ্য যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে ৭ লক্ষ ৮৫ হাজার জনগণকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে চাল বিতরণের কথা ঘোষণা করেছেন। এখন দু- টাকা কেজি দরে মাসে পাঁচ কেজি করে চাল পাওয়া যায় রেশন থেকে। সেই চালটাই এবার বিনামূল্যে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়া, দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার সাধারণ জনগণের জন্যে রেশন বিনামূল্যে করার পাশাপাশি এর পরিমাণও পূর্বের থেকে বৃদ্ধি করেছেন।
পথে বসা দুঃস্থ লোকেদের জন্যে আশ্রয়স্থলের ব্যবস্থা করেছেন।
উত্তর প্রদেশ সরকার শ্রমিকের ভরণ পোষণ যোজনার অধীনে ৩৫ লক্ষ সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্যে মাসে ১হাজার টাকা প্রদানের কথা ঘোষণা করেছেন।
যাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই, তাঁদের বিশেষ ব্যবস্থা করে এই টাকা দেওয়া হবে।
গুজরাট সরকার ৬০ লক্ষ মানুষকে ১ এপ্রিল থেকে প্রতি ২.৫ কিলোগ্রাম গম, ১.৫ কিলোগ্রাম চাল, ডাল, নুন এবং চিনি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
তেলেঙ্গানা সরকার সাধারণ মানুষের জন্যে ১ হাজার ৫০০ টাকা প্রদান করার পাশাপাশি পয়লা এপ্রিল থেকে পূর্বের ৬ কিলোগ্রামের পরিবর্তে বিনামূল্যে চাল দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছে।
২০১৪ সালে করা সর্বাত্মক পরিবার সমীক্ষার মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী যোগান ধরার পরিবর্তে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করে দেওয়া হবে।
রাজস্থান সরকার তেমন শ্রেণীর লোকেদের সামাজিক নিরাপত্তা বীমা প্রকল্পের মাধ্যমে মাসে ১ হাজার টাকা করে প্রদান করবে। জেলা প্রশাসনের দ্বারা সেসব ব্যক্তিদের সনাক্ত করে ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এই টাকা জমা করে দেয়া হবে।
অত্যন্ত লজ্জাজনক যে, অসম সরকার কেবলমাত্র নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করার কথা ঘোষণা করা ছাড়া রাজ্যের সাধারণ শ্রেণীর মানুষের জন্যে বর্তমান সময় পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এমন দুরবস্থায় সামাজিক মাধ্যমে অসম সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সচেতন নাগরিকরা।
কীভাবে চলবে অসমের দিন মজুরদের জীবন? মন্ত্রী ড০ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সরাসরি অসমের অর্থনৈতিক অবস্থা যে ভালো নয়, সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন!
সচেতন নাগরিকরা প্রশ্ন করছেন, বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় উৎসব করার জন্যে রাজ্য সরকারের হাতে কোটি কোটি টাকা থাকে, জনগণের এ দুরবস্থার সময় মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল কেন মুখে কুলুপ এঁটে বসেছেন?