আজ বৃহস্পতিবার সমগ্র রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে অসমের কাছাড় জেলার শিলচরেও ধর্না কার্যসূচি পালন করল সারা আসাম মধ্যাহ্ন ভোজন কর্মচারী ইউনিয়ন।
এদিন শিলচরের জেলাশাসক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন হাজার হাজার মিড-ডে মিল কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে অসম সরকার খুদে পড়ুয়াদের পুষ্টিকর খাদ্যের যোগান দিতে মধ্যাহ্ন ভোজন প্রকল্প হাতে নেয়।
কিন্তু ইতিমধ্যে জানা গেছে, এই মিড-ডে মিল প্রকল্পটি ১৫টি বেসরকারি সংস্থার কাছে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এই বেসরকারি সংস্থা কেন্দ্রীয় রন্ধন শালার মাধ্যমে খাদ্য প্রস্তুত করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সরকারের এমন এক সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ আসাম মধ্যাহ্ন ভোজন কর্মচারীরা।
কারণ, প্রথমে খুদে পড়ুয়ারা এক তো পুষ্টিকর খাদ্য থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়বে কেন না ওই সংস্থাগুলো শিশুদের প্যাকেটজাত খাবার যোগান ধরবে। অন্যদিকে অসমে ১ লক্ষ ১৭ হাজার রন্ধনকর্মীর ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে পড়বে।
মধ্যাহ্ন ভোজন কর্মচারীদের বক্তব্য, ২০১০ সাল থেকে তারা অসম সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। হয়তো অতিরিক্ত মাসিক ৫ হাজার টাকা সাম্মানিক পেনশন নিয়ে নয়তো চিকিৎসা, সাহায্য সহ সামাজিক সুরক্ষার দাবিতে।
কিন্তু, আজ অবধি কোনও দাবিই মেনে নেয় নি অসম সরকার। বরং উল্টো সেই কর্মীদের ছাটাই করতে উঠে পরে লেগেছে সর্বার সরকার।
এই সিদ্ধান্ত বাতিল করার দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার কাছাড়ের জেলাশাসক মারফৎ মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের উদ্দেশ্যে এক স্মারকপত্রও দাখিল করেন ভুক্তোভুগী মিড-ডে মিল কর্মীরা।