মধ্যাহ্ণ ভোজনকে কেন্দ্র করে শিক্ষা বিভাগের নিরবচ্ছিন্ন, দায়সারা কাণ্ড নিইয়ে উত্তপ্ত সারা অসমের মধ্যাহ্ণ ভোজনের কর্মচারী, শিক্ষক তথা পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। একই দৃশ্য শিলচরেও দেখা গেল সোমবার।
শিলচরের শ্রীকোনা নামক এলাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের মিড-ডে মিলের দায়িত্ব বহন করা ‘আকৃতি’ নামক এনজিও’টি গাড়িতে মধ্যাহ্ণ ভোজনের রান্নাবান্না নিয়ে বিদ্যালয়ের দিকে আসছিল।
ঠিক সে সময় মধ্যাহ্ণ ভোজনের রাঁধুনিরা আকৃতি’র গাড়ি দাঁড় করিয়ে সমস্ত সামগ্রী লণ্ডভণ্ড করে প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে।
উল্লেখযোগ্য যে, বিদ্যালয়ে মধ্যাহ্ণ ভোজনের দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থাকে হস্তান্তর করা সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধিতা চলছে সারা রাজ্য জুড়ে।
সরকারের এমন হঠকারি সিদ্ধান্তে অচল হয়ে পড়েছে রাঁধুনিদের সংসার, অন্যদিকে এনজিও থেকে প্রেরণ করা খাবারের মান বিন্দুমাত্র স্বাস্থ্যকর নয়।
অসমের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষয়িত্ৰী, অভিভাবকেরা বিগত ১ নভেম্বর থেকে দিনরাত দাবি করে আসছেন, এনজিও’ থেকে দেওয়া খাবার অপুষ্টিতে ভরা। তদুপরি সেগুলোতে রয়েছে কিট-পতঙ্গ।
সুপর্না দাস নামক একজন মধ্যাহ্ণ ভোজনের রাঁধুনি ‘নর্থ ইস্ট নাও’ এর সাংবাদিককে জানিয়েছেন, “আমরা পড়ুয়াদের জন্যে রান্না করা পাকঘরটি পরিদর্শন করেছিলাম। সেখানে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার রান্না করা কিংবা স্বচ্ছতার ক্ষেত্রেও কোন গুরুত্ব দিতে দেখলাম না।”
তদুপরি, তিনি জানিয়েছেন, “আমরা আজও ছাত্র-ছাত্রীর জন্যে আনা খাদ্য নিরীক্ষণ করে দেখেছি যে তার মান যথেষ্ট নীচে, খাবারের অনুপযুক্ত।”