গুয়াহাটি: গত বছর অসমে(Assam) মা ও নবজাতকের মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে, ন্যাশনাল হেলথ মিশন (NHM)এর স্বাস্থ্য মন্থন-৬ এর সাম্প্ৰতিক সমীক্ষায় এই তথ্য সামনে এসেছে।
২০২১-২২ সালের তুলনায় ২০২২ থেকে ২৩ সালের সময়কালে মাতৃত্বকালীন মৃত্যুর (Maternal deaths) হার উল্লেখযোগ্যভাবে ৩৪ শতাংশ কমেছে। ২০২১-২২ সালে প্ৰসবকালীন মৃত্যুর (Maternal deaths) তথ্য ৬৮০ জানা গিয়েছিল। তা কমে ২০২২-২৩ সালে ৪৪৮ তথ্য পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নবজাতকের মৃত্যুর হারও ১৩.৬ শতাংশ কমেছে। ২০২১-২২ সালে ৬৭২১টি কেস পাওয়া গিয়েছিল, ২০২২-২৩ সময়কালে কমে ৫৮০৫ কেস পাওয়া গেছে।
ন্যাশনাল হেল্থ মিশন (NHM) উল্লেখযোগ্য উন্নতির জন্য মা ও নবজাতকের প্ৰসবকালীন স্বাস্থ্য সংক্ৰান্ত বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখে মৃত্যুর হার ঠেকাতে নতুন কৌশলকে কৃতিত্ব দিয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের চার থেকে পাঁচ সদস্যের দল প্রত্যেক মাসে জেলায় পাঠানো হয় প্ৰসবকালীন মৃত্যুর জন্য দায়ী স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক বা আশা কর্মীদের শনাক্ত করতে।
স্বাস্থ্য বিভাগ নারীর মাতৃত্বকালীন মৃত্যু (Maternal deaths) ঠেকানোর পাশাপাশি গর্ভবতী মায়েদের সময়মতো হাসপাতালে যাতে ভর্তি করানো হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য কমিউনিটি মোবিলাইজেশনের জন্য ব্যাপক চেষ্টা চালাচ্ছে।
গত বছর ২০১৮ থেকে ২০২০ সময়কালের ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেলের ‘মাতৃমৃত্যু সংক্রান্ত বিশেষ বুলেটিন’ প্ৰকাশ পেয়েছে। তাতে উল্লেখ রয়েছে, অসমে (Assam) প্রতি এক লক্ষ নবজাতকের মধ্যে জন্মের সময় ১৯৫ টির মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। যা ২০১৬ থেকে ২০১৮ সময়কালে কমেছে। এই সময়কালে প্রতি এক লক্ষ নবজাতকের মধ্যে প্ৰসবকালীন মৃত্যুর সংখ্যাটি ছিল ২১৫।