সমগ্র ভারতে চলছে ২১ দিনের লকডাউন ব্যবস্থা। এই ২১ দিন আপনি হয়তো অনেক রকম অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন, কিন্তু করোনার মতো সংক্রামক ভাইরাস প্রতিরোধের জন্যে সম্পূর্ণ লক ডাউনই হচ্ছে সবচাইতে কার্যকর বিকল্প। এর বাইরে অন্য কোন পথ নেই।
আমেরিকার মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যয়নে বলা হয়েছে যে, এক সপ্তাহের সম্পূর্ণ লক ডাউনের ফলে করোনার সংক্রমণ ১৬১ গুণ কমে যায়।
লক ডাউন যাতায়াত এবং সামাজিক কোয়ারেন্টাইন থেকে অধিক কার্যকরী।
অধ্যয়নে বলা হয়েছে, যদি কোভিড-১৯ প্রতিরোধের জন্যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয়, তা হলে ১৫ মে পর্যন্ত প্রতি ১ লক্ষ ব্যক্তির মধ্যে ১৬১ জন লোক করোনার দ্বারা সংক্রামিত হয়ে পড়বে।
এসময় সমগ্র দেশে যদি যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হয়, তাহলে এ সংখ্যা হ্রাস পেয়ে প্রতি ১ লক্ষে ৪৮ জন হবে।
যাতায়াতের সঙ্গে সামাজিক কোয়ারেন্টাইন করে দিলেও প্রতি লক্ষে ৪ জন সংক্রামিত হবে।
অন্যদিকে, ১ সপ্তাহ সম্পূর্ণ লকডাউনে করোনার সংক্রমণ প্রতি ১ লক্ষে ১ জন হ্রাস করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ৩ সপ্তাহ তথা ২১ দিনের সম্পূর্ণ লক ডাউনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সম্পূর্ণভাবে প্রভাবহীন করে তোলা যায়।
অধ্যয়নে বলা হয়েছে, যদি কঠোর নিষেধাজ্ঞা গ্রহণ না করা হয়, তাহলে করোনার সংক্রমণ এখন যে হারে ঘটছে, তা আগামি দেড় মাসে বৃদ্ধি পেয়ে ১৬ লক্ষ অতিক্রম করবে। তখন একে প্রতিরোধ করা অসম্ভব হয়ে যাবে।
অধ্যয়নে বলা হয়েছে, বর্তমান হারের হিসেবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ভারতে ৪ হাজার ৮০০ ছুঁয়ে ফেলবে।
আগামি ১ মাসে অর্থাৎ ১৫ মে পর্যন্ত ৯.১৫ লক্ষ, জুন পর্যন্ত ১৪.৬০ লক্ষ এবং ১৫ জুন পর্যন্ত ১৬.৩০ লক্ষ অতিক্রম করবে।
উল্লেখযোগ্য যে, এই অধ্যয়নে ইতিমধ্যে বহু শুদ্ধ বলে প্রমাণিত হয়েছে। অধ্যয়নে ১৭, ১৮ এবং ১৯ মার্চে ভারতে ১১৯,১২৬ এবং ১৩৩ টি ঘটনার ভবিষৎ বাণী করা হয়েছিল। বাস্তবে উক্ত তারিখ কয়েকটাতে ক্রমে ১৪২,১৫৬ এবং ১৯৪ টি ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।