জেসিবি সহযোগে মনরেগার কাজ হচ্ছে, অবমাননা করা হচ্ছে লকডাউন আইন ইত্যাদি মনগড়া কিছু অভিযোগ এনে কাটিগড়া উন্নয়নব্লকের অধীন লেভারপুতা জিপির জিপি সভানেত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। কোনও এক পোর্টেল নিউজের খবর মতে,জিপি সভানেত্রীর প্রচ্ছন্ন মদতেই নাকি এমনটা চলছে।
কিন্তু বাস্তবে এর উল্টোটাই পরিলক্ষিত হয় বুধবার প্রাক্ সন্ধ্যায়। জেসিবি তো দুরের কথা লকডাউন অমান্য করে সরকারিভাবে বরাদ্দ কোন কাজই হচ্ছে না বলে সাফ জানালেন কাটিগড়া সীমান্তবর্তী লেভারপুতা জিপির হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের অধিকাংশ জনগন । পোর্টেল নিউজে প্রকাশিত সংবাদকে ভূঁয়ো ও তথ্যবিহীন বলে একবাক্যে খারিজ করে এলাকাবাসী জানান লকডাউন আইন যেমন অবমাননা করা হয়নি তেমনি সরকারি অর্থে কোনও কাজই হচ্ছে না। ২৪ মার্চ ঘোষিত লকডাউনের পূর্বে জিপি সভানেত্রীর প্রতিনিধি আব্দুল বাচিত শিকদার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে গ্রামীণ একটি রাস্তার উপর মাটি ফেলেছিলেন। যেটা ছিল তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ।
কিন্তু ২৪ মার্চ লকডাউন ঘোষনার পর তা স্থগিত রাখা হয়েছে। জিপি এলাকাবাসী পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছোঁড়ে বলেন যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে যে সরকারি অর্থে লকডাউন অবমাননা করে কাজ হয়েছে,তাহলে জিপি সভানেত্রী ও তার প্রতিনিধির বিরুদ্ধে স্বয়ং জিপির মানুষ আইনগতভাবে লড়াই করবেন। দ্বারস্ত হবেন প্রশাসনের। এতে দ্বিমত নেই। কিন্তু তাই বলে স্বীয়স্বার্থ চরিতার্থ করতে গোটা জিপির উন্নয়ন নিয়ে অযাচিত নেতাগিরি করলে কাউকে ছেড়ে কথা বলবেন জিপি এলাকাবাসী। এদিন সংবাদ মাধ্যমে পঞ্চায়েত সভানেত্রীর প্রতিনিধি আব্দুল বাচিত সহ প্রাক্তন ওয়ার্ড সদস্য সুরেন্দ্র দাস, বিজেপির মণ্ডলস্তরের নেতা কৌশিক দেব সহ অন্তত অর্ধশতাধিক জনতা পোর্টেল নিউজে প্রকাশিত সংবাদের জেরে রীতিমত ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
গত ১৮ মাসে পিছিয়ে পড়া জিপি এলাকার উন্নয়নমুলক কাজকর্মে অনেকটাই গতি ফিরে এসেছিল। জিপি সভানেত্রী নিজস্ব উদ্যোগে বহুলাংশ ভঙ্গুর রাস্তার কাজে হাত দিয়েছিলেন। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মনগড়া অভিযোগ এনে কাজের গতি রোধ করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে জানান তারা ।বলেন, পঞ্চায়েতের জনহিতকর কাজকর্মে গাত্রদাহ হচ্ছে একাংশ মুনাফাখোর পেটুয়া নেতাদের। ফলে মিথ্যে, তথ্যবিহীন বাস্তবের সঙ্গে অমিল কিছু ছবি তুলে এলাকার মুষ্টিমেয় মুনাফাখোর পেটুয়া নেতাদের ইশারায় পোর্টেল নিউজে খবর প্রকাশ করা হয়েছে। এতে স্পষ্ট হচ্ছে যে এভাবে মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করে পঞ্চায়েত সভানেত্রীর ভাবমূর্তি কলুষিত করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে । তবে গ্রাম তথা এলাকাবাসী তাদের প্রচেষ্টা কখনই সফল হতে দেবেন না । প্রয়োজনে গ্রামবাসী ওই মুনাফাখোরদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দিলেন তারা।
এমজিএনরেগা প্রকল্পের নামে দেদার দুর্নীতি যে হচ্ছে কাটিগড়ায় তা,আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কাটিগড়া উন্নয়নব্লকের অধীন দশটি জিপি এলাকার অধিকাংশেই চলছে হরিরলুট। তবে লেভারপুতা জিপির এমন একটি কাজ যে কাজের অনুমোদন হয়নি,মাষ্টাররোল তৈরি দুরহস্ত। জিপি সভানেত্রীর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী একেবারে নিজস্ব উদ্যোগে চলাচলের উপযোগী করে তুলতে রাস্তায় কিছু মাটি ফেলা নিয়ে এভাবে তথ্যবিহীন ভুঁয়ো সমালোচনা করে নির্বাচিত প্রতিনিধির আত্মসম্মান বিনষ্ট করার পাশাপাশি জিপির উন্নয়ন স্তদ্ধ করার ফন্দি চলে,তাহলে নিঃসন্দেহে এটা নিন্দনীয় ও দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন স্থানীয় প্রবীণ নাগরিকবৃন্দ।