গুয়াহাটিঃ বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্ৰেক্ষিতে অসমের কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভায় বিরোধী দলের উপনেতা গৌরব গগৈ উত্তর-পূর্বের আঞ্চলিক দলগুলিকে বিজেপির থেকে সতর্ক থাকতে বললেন।
বিহারে নীতীশ কুমারের জেডি-ইউ বিজেপির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে, আরজেডির সঙ্গে মহাজোট করে ফের মুখ্যমন্ত্ৰীর আসনে বসেছেন নীতীশ কুমার। বিহারকে উদাহরণ হিসাবে উল্লেখ করে গৌরব বলেন – বিজেপি উত্তরপূর্বের আঞ্চলিক দলগুলিকে ভাঙতে চাইছে।
তিনি আরও বলেন যে বিজেপি আঞ্চলিক দলগুলিকে ভেঙে উত্তরপূর্বে তাদের মহারাষ্ট্র মডেল বাস্তবায়ন করতে চাইছে।
অসমের কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ ঠারেঠোরে এও বুঝিয়ে দেন যে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির যে আঞ্চলিক দলগুলি পরের বছরে নির্বাচনে নামবে, তারা বিজেপির রণকৌশলের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
প্ৰসঙ্গত উল্লেখ্য যে, উত্তর-পূর্ব রাজ্য মেঘালয়, নাগাল্যান্ড এবং ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তারপর ২০২৩এরই দ্বিতীয়ার্ধে, মিজোরাম, আরেকটি উত্তর-পূর্ব রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
অসমের কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈয়ের কথায়-
“বিহারের মতো উত্তর-পূর্বের আঞ্চলিক দলগুলিকে সতর্ক হওয়া উচিত। বিজেপির ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র মডেল বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে বিশেষ করে সেই রাজ্যগুলিতে যেখানে নির্বাচন হচ্ছে। ”
মঙ্গলবার বিজেপির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার পরে নীতীশ কুমার আটবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন৷ তারপরই লোকসভার বিরোধী দলের উপনেতা গৌরব গগৈয়ের এই মন্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আজ অর্থাৎ বুধবার বিহারের ডেপুটি সিএম হিসেবে শপথ নিয়েছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। জেডি-ইউ বিজেপির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে এবং একটি নতুন “মহাজোট” সরকার ঘোষণা করেছে। বিহারে নতুন “মহাজোট” সরকার সাতটি দল এবং স্বতন্ত্র বিধায়ক নিয়ে গঠিত। বিহারে নতুন “মহাজোট” সরকারে জেডি-ইউ, আরজেডি এবং কংগ্রেস গুরুত্বপূর্ণভাবে অংশীদার।
বিজেপি ছাড়ার আগে নীতীশ কুমার বলেছেন- “আমরা (জেডি-ইউ) সিদ্ধান্ত নিয়েছি (বিজেপি ছাড়ার)। আমি ২০১৪ সালে বাঁচবো না,”
২০২৪ সালের নির্বাচনে বিরোধী দলগুলিকে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার আহ্বানও জানিয়েছেন নীতীশ কুমার।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেছেন, “আমি চাই ২০২৪ সালের জন্য বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হোক।” নীতীশ কুমার আরও বলেন- যে তিনি নিজেকে ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদ প্রার্থী হিসাবে দেখছেন না। তিনি বলেন, ‘আমি এ ধরনের কোনও পদের (প্রধানমন্ত্রী) প্রতিদ্বন্দ্বী নই।