অসমের তিন জেলায় ব্যাপক ভূমিধস। শিশু-মহিলাসহ প্রায় ২০ জন জীবন্ত মাটিচাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
চলতি বছর একের পর এক বিপদ লেগে রয়েছে। সারা দেশ যখন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করছে, তখন চিন্তা বাড়াচ্ছে অসমের বন্যা পরিস্থিতি। রাজ্যের ১১টি জেলার অন্তত ৩.৭২ লক্ষ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা গোয়ালপাড়া, নগাঁও এবং হোজাইয়ের। সেখানের কমপক্ষে ১৮,০০০ মানুষকে ত্রাণশিবিরে সরানো হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অনুদান বাড়িয়েছে কেন্দ্র।
শুধু তাই নয়, সাথে এলো আমফান, নিসর্গের ভ্রূকুটি এবং পঙ্গপাল। এবার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল সাক্ষী হয়ে রইল ভূমিধসের!
বরাক -ব্রহ্মপুত্র দুই উপত্যকাতেই প্রবল বর্ষণ হচ্ছে। এর জেরেই মাটির ধস নামে। তাজা প্রায় কুড়িটি প্রাণ অকালে শেষ হয়ে গেল মঙ্গলবার সকালে।
প্রথম ভূমিধস হয় বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া করিমগঞ্জের কালীগঞ্জে। দ্বিতীয়টি চাছার জেলার কোলাপুর গ্রামে এবং তৃতীয়টি হাইলাকান্দি জেলার ভটাতবাজার গ্রামে।
প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, আহতদের মধ্যেও অনেকের অবস্থা গুরুতর। ঘটনার শোকপ্রকাশ করে টুইটারে সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল। তিনি বরাক উপত্যকার কাছাড়, হাইলাকান্দি ও করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসন এবং এনডিআরএফ’কে প্রয়োজনীয় সবরকম সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।